কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা আরাবুল ইসলামের জামিন খারিজের আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আক্রান্ত ব্যক্তি ৷ কিন্তু হাইকোর্ট মনিরুল মোল্লা নামে ওই ব্যক্তির আবেদন পাঠিয়ে দিল নিম্ন আদালতে ৷ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এই নির্দেশ দিয়েছেন ৷
ঘটনার সূত্রপাত প্রায় দু’বছর আগে 2023 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ৷ ওই বছর 15 জুন মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙড় ৷ মইনুদ্দিন মোল্লা নামে এক আইএসএএফ কর্মী খুন হন ৷ গুলিবিদ্ধ হন মনিরুল মোল্লা ৷
সেই সময় আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, বিস্ফোরক আইনে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বিজয়গঞ্জ বাজার থানায় । পরে তিনি নিম্ন আদালত থেকে জামিনে ছাড়া পান ৷ যদিও ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজারে তাঁকে প্রবেশে নিষেধ করে আদালত ৷ পরে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে ৷ অভিযোগ, তার পর থেকেই আরাবুল হুমকি দিতে থাকেন ৷
অভিযোগ, গত ডিসেম্বরে আরাবুলের অনুগামীরা মনিরুল মোল্লাকে হুমকি দেয় ৷ আরাবুল এসে তাঁর উপর হামলা চালাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেয় ৷ এর পরই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই ব্যক্তি ৷ আদালতের কাছে তিনি আরাবুলের জামিন খারিজের মামলা দায়ের করেন ৷
মনিরুলের আইনজীবী শর্মিষ্ঠা বসাক জানান, মনিরুলের শরীরে এখনও গুলির আঘাত রয়েছে ৷ নতুন করে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ৷ এতে আতঙ্কে রয়েছে মনিরুল ৷ সেই কারণে আরাবুল ইসলামের জামিন খারিজ করে দেওয়া হোক ৷
বুধবার এই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে ৷ সেখানে বিচারপতি নির্দেশ দেন, যেহেতু ওই ব্যক্তিকে এখনও হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে । মামলাকারী যদি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তাহলে তাঁকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আবেদন জানাতে হবে ।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আরও নির্দেশ দিয়েছেন, যদি দেখা যায় হুমকির অভিযোগ সত্যি । নিরাপত্তার প্রয়োজন আছে ৷ তাহলে তাঁকে সাক্ষী নিরাপত্তা আইন বা উইটনেস প্রটেকশন আইনে নিরাপত্তা দিতে হবে । এই জন্য তাঁকে নিম্ন আদালতে আবেদন করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।