পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

'রাজ্য সরকার কি দাদাগিরি সমর্থন করছে ?' পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট - Calcutta High Court - CALCUTTA HIGH COURT

Calcutta High Court: ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ ৷ মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের নির্বাচন বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ৷ পরবর্তী শুনানির দিন বেঞ্চ বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান হলফনামা দেওয়ার ও প্রিসাইডিং অফিসারকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে ৷

Calcutta High Court
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 6, 2024, 7:15 PM IST

কলকাতা, 6 অগস্ট: মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের নির্বাচন বাতিল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী । অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী বিজয়ী হলেও তাঁকে জোর করে বোর্ড গঠন করতে দেওয়া হয়নি । প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনের দিন দুষ্কৃতীরা হামলা করে । ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলা, সিসিটিভি ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে । বর্তমানে ওই পঞ্চায়েত চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । যার জেরে ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ ৷

বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধানকে তাঁরা হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন । একইসঙ্গে পরবর্তী শুনানির দিন প্রিসাইডিং অফিসারকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন । রাজ্যের বক্তব্য, ওখানে নির্বাচন হয়নি তা বলা যাবে না । বিজয়ী প্রার্থীরা দলবদল করেছে ।

একথা শুনে ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বক্তব্য, "ওখানে নির্বাচন করতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে । নির্বাচনের রেজোলিউশন কই ? কীসের ভিত্তিতে আপনারা বিজয়ী প্রধানের নাম ঘোষণা করলেন ? দুষ্কৃতীরা নির্বাচন করতে দেয়নি । ভাঙচুর চালানো হয়েছে । সিসিটিভি ভেঙে দেওয়া হয়েছে । এটা রাজ্যের রিপোর্টেই উল্লেখ করা হয়েছে । আদালত ওই নির্বাচন বাতিল করে দেবে । রাজ্য সরকার কি দাদাগিরি সমর্থন করছে ? আগে হলফনামা দিয়ে সব পক্ষ নিজেদের বক্তব্য জানাক । তারপর তিন সপ্তাহ পরে আদালত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ।"

কী ঘটেছিল ?সাগরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট 30টি আসনের মধ্যে বিজেপি একাই 17টি'তে জয়লাভ করে । গতবছর 10 অগস্ট বিডিও বেলা 12টার সময় প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচনের নোটিশ দেন । বিজেপির জয়ী 17 জন প্রার্থী হাজির হয়ে হাত তুলে জানান তাঁদের উপস্থিতি । প্রয়োজনীয় কাজগপত্রও তাঁদের সঙ্গে ছিল । একইসঙ্গে তাঁদের তরফে প্রধান হিসাবে সান্ত্বনা মণ্ডলের নাম প্রস্তাব করা হয় । প্রিসাইডিং অফিসার নিয়ম অনুযায়ী, নথিপত্রে স্বাক্ষরও করান । কিন্তু তৃণমূল সদস্যদের দাবি মতো ফের ব্যালটে ভোট করানোর নির্দেশ দেন প্রিসাইডিং অফিসার । তারপরই উলটে পালটে সবকিছু ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।

বিজেপির বিজয়ী প্রার্থীদের তরফে আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় ও মানস দাসের অভিযোগ, বিজেপির কয়েকজন প্রার্থী ভোট দেওয়ার পরই সেখানে তৃণমূল ও সিপিএমের প্রার্থী সমস্ত ব্যালট কেড়ে নিয়ে নিজেদের ইচ্ছেমতো ব্যবহার করেন । মারধর শুরু হয়ে যায় । তাঁদের আরও অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসার বিজেপির 5টি ব্যালট পেপার বাতিল বলে ঘোষণা করেন । বিরোধী পক্ষ তৃণমূলকে জয়ী বলে ঘোষণা করেন । প্রিসাইডিং অফিসারের সামনেই বিজেপি প্রার্থীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তাঁদের । বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এদিন সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর প্রিসাইডিং অফিসারকেও আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছেন ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details