কলকাতা, 3 জুন: 21 জুন পর্যন্ত ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর বিরুদ্ধে কোনওরকম পুলিশি পদক্ষেপের উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ তাঁর বিরুদ্ধে গড়বেতা থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরের ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷ 18 জুন ফের শুনানি এই মামলার ৷
প্রণত টুডুর বিরুদ্ধে পুলিশি পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞা কলকাতা হাইকোর্টের৷ (ইটিভি ভারত) ঝাড়গ্রামের বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর হয়ে সোমবার আদালতে আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "প্রণত টুডু ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু, রাজ্য সরকার তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেনি ৷ পরে কলকাতা হাইকোর্টে এসে তিনি সেই অনুমতি পান ৷"
বিজেপি প্রার্থীর আইনজীবীর অভিযোগ, নির্বাচনের দিন 25 মে মঙ্গলাপোতা নামে একটা জায়গায় প্রায় 200 জনের ভিড় থেকে প্রণত টুডুকে আক্রমণ করা হয় ৷ লাঠি ও অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ ৷ সেই ঘটনায় প্রণত টুডুর নিরাপত্তারক্ষী এবং নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফ জওয়ানরা আক্রান্ত হয়েছিলেন সেদিন ৷ অনেকেই আহত হন সেই ঘটনায় ৷ এদিন আদালতে প্রণত টুডুর তরফে পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করা হয়েছে ৷ সেই ঘটনায় গড়বেতা থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছিল ৷ কিন্তু, পুলিশ সেটাকে গুরুত্ব দেয়নি বলে অভিযোগ ৷ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী হামলার ঘটনায় পুলিশ এফআইআর দায়ের করেনি ৷
অন্য একটি ঘটনায় সিআইএসএফ থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল ৷ সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেও পুলিশ এফআইআর রুজু করেনি বলে অভিযোগ ৷ কিন্তু, ওইদিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের তরফে মানিক প্রধান নামে এক ব্যক্তি প্রণত টুডুর বিরুদ্ধে হামলা ও অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ দায়ের করেন ৷ যার ভিত্তিতে পুলিশ দ্রুত এফআইআর গ্রহণ করে ৷ বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সেই এফআইআর অবিলম্বে খারিজের দাবি করা হয় ৷ যদিও, আদালত সেই আবেদন গ্রহণ করেনি ৷ এরপরেই বিজেপি প্রার্থীর আইনজীবী পুলিশি পদক্ষেপে স্থগিতাদেশের আবেদন করেন ৷ সেই আবেদন মোতাবেক 21 জুন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ৷
পুলিশি পদক্ষেপে নিষেধাজ্ঞার আবেদনে কারণ হিসেবে আইনজীবীর যুক্তি ছিল, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিন বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুর গণনা কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা জরুরি ৷ এদিন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রও কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা করেছেন ৷ তাঁকে মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হতে পারে, এই আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করেছেন রেখা পাত্র ৷ যদিও, তাঁর আবেদনের শুনানি হয়নি ৷