কলকাতা, 12 এপ্রিল: ভারত সেবাশ্রম সংঘের বাসন্তী পুজো ও শোভাযাত্রার অনুমতি না দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পুলিশ ৷ মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর পর্যবেক্ষণ, "কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা আছে, শুধু এই যুক্তিতে প্রতিদিনের কাজকর্ম কি আমরা বন্ধ করে বসে থাকব?" বিচারপতি আরও জানান, গত 20 বছর ধরে ভারত সেবাশ্রম সংঘ বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে এই শোভাযাত্রা করে। সেখানে তাঁদেরই স্কুলের পড়ুয়ারা হাঁটার কথা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁদের মিছিলে আপত্তির কারণ কতটা যুক্তি যুক্ত? তাহলে রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থাকে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে বলুক রাজ্য। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়েও এই শোভাযাত্রা করতে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে পাঁচ হাজার থেকে লোক সংখ্যা তিন হাজার করতে হবে বলে নির্দেশ আদালতের।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গায় ভারত সেবাশ্রম সংঘের বাসন্তী পুজো এবং 14 এপ্রিলের শোভাযাত্রার অনুমতি বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর। মিছিলের একটি জায়গায় উত্তেজনাপ্রবণ দাবি করে মিছিলের রুট বদলের প্রস্তাব দিয়েছিল পুলিশ । কিন্তু সেই প্রস্তাব বাতিল করে বিচারপতি জানিয়েছেন, রুট অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী 14 থেকে 18 এপ্রিল এই পুজো ও মেলা হবে। 14 এপ্রিল বেলা 3টের সময় প্রায় 5 হাজার লোক একটা মিছিলে অংশ নেবে বলে জানা গিয়েছে। গত 20 বছর ধরে এই ভাবেই চলে আসছে। চলতি বছরে পুলিশ অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ । প্রায় 12টি স্কুল এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে।
অন্যদিকে, শ্রীরামপুরে জি টি রোডে রামনবমীর মিছিলে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের। তবে লোক সংখ্যা কমিয়ে করতে হবে মিছিল। 13টি মিছিল 200 জন লোক নিয়ে করতে হবে। এক্ষেত্রেও পুলিশের রুট বদলের প্রস্তাব খারিজ। আদালতের বক্তব্য, মিছিলে লোক সংখ্যা যখন কম করার নির্দেশ দেব, তখন রুট বদলের প্রস্তাব মানা হবে না। পুলিশের পক্ষে হাজার পাঁচেক লোকের মিছিল সামাল দেওয়ার ক্ষমতা আছে। রাজ্য প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারবে নিরাপত্তার জন্য।
এর আগে রাম নবমীর দিন শ্রীরামপুরের শোভাযাত্রায় আপত্তি জানায় রাজ্য। কারন মাঝে বেশ কিছুটা জায়গা স্পর্শ কাতর এলাকা। সেখানে এই মিছিল গেলে বড় গোলমালের আশঙ্কা করা হয়েছে পুলিশ-প্রশাসনের তরফে। গত বছর অভিযোগ ছিল মিছিলে ছোড়া হয়েছে ইট-পাটকেল ৷ ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ দায়েরও হয়েছিল ৷ সেই মামলার তদন্ত করছে এনআিএ। যদিও বিচারপতির নির্দেশ দীর্ঘদিন ধরেই এই মিছিল হয় । শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে নির্দেশ সংগঠকদের।