কলকাতা, 20 জুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ আগামী দু'সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষা দফতরের অধীনে থাকা সব স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য 'বাংলার শিক্ষা পোর্টাল'-এ আপলোড করার কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে, বৃহস্পতিবার নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷
বিচারপতি বলেন, "স্কুলের শিক্ষক যে যে বিষয় পড়াচ্ছেন, তাঁর যোগ্যতা কী, সেটা ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের জানা উচিত ৷ কারণ অভিযোগ এসেছে বহু শিক্ষক/শিক্ষিকার যোগ্যতা নেই ৷ অথচ তাঁরা স্কুলে নিযুক্ত হয়েছেন ৷ সেই জন্য রাজ্যকে প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষিকার যোগ্যতা কী, তা সরকারের পোর্টালে আপলোড করতে হবে ৷" এদিন রাজ্যের সব স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তথ্য জড়ো করতে আরও দু'মাস সময় চেয়েছিলেন রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিক ৷
এদিন রাজ্যের আইনজীবী হুগলি, বীরভূম এবং নদিয়া জেলার রিপোর্ট তুলে দিয়েছেন বিচারপতির হাতে ৷ তারপরই বিচারপতির মন্তব্য, "রাজ্য সমস্ত ব্যাপারে এত স্লো কেন ?" বিচারপতির বক্তব্য, "আরও দ্রুত কাজ করতে হবে ৷ কোনও রকম নিয়োগপত্র ছাড়াই বহু শিক্ষক চার-পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন ৷ আর দেরি করা যাবে না ৷ কারা স্কুলে চাকরি করছে, সেটা সবার জানার দরকার ৷"
লোকসভা নির্বাচনের কারণে রাজ্যের স্কুলগুলির পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ৷ এবিষয়ে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "নির্বাচনের জন্য কেন যে দেশে আলাদা বিল্ডিং বানানো হচ্ছে না ? স্কুলগুলি রাজনৈতিক নেতাদের, মিলিটারিদের ! খালি ছাত্রদের নয় ৷ দেশে প্রতি বছর দু-তিনটি করে নির্বাচন হচ্ছে ৷ আর ভুগতে হচ্ছে গরিব ছাত্রছাত্রীদের ৷ সরকার আলাদা করে বাহিনীর লোকজনের থাকার জন্য বিল্ডিং বানাক ৷ যেখানে সব রকম ব্যবস্থা থাকবে ৷ গত তিন-চার মাস ধরে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল পাচ্ছে না ৷"