বর্ধমান, 27 অগস্ট: জাতীয় পতাকা থেকে লাঠি খুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল বর্ধমান জিআরপি-র বিরুদ্ধে । বিজেপির তরফে এমনই অভিযোগ করা হয়েছে ৷
নবান্ন অভিযানকারীদের থেকে জাতীয় পতাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ, অস্বীকার জিআরপি-র (ইটিভি ভারত) মঙ্গলবার বিজেপির নেতা-কর্মীরা নবান্ন অভিযান উপলক্ষে বর্ধমান থেকে ট্রেনে চেপে হাওড়া রওনা দেন । তাঁরা এ দিন জাতীয় পতাকা নিয়ে যান । বিজেপির অভিযোগ, কিন্তু জিআরপি পুলিশ তাদের জাতীয় পতাকা হাত থেকে কেড়ে নেয় । প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি কর্মীরা । যদিও পুলিশের দাবি, জাতীয় পতাকা কেড়ে নেওয়া হয়নি । তাদের লাঠি নিয়ে যেতে নিষেধ করা হয়েছে ।
বর্ধমান স্টেশনে জাতীয় পতাকা নিয়ে নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারী৷ (নিজস্ব চিত্র) পুলিশের দাবি, সাধারণের ভিড়ে মিশে গিয়ে কিছু দুষ্কৃতী গন্ডগোল পাকাতে পারে । অভিযানের আড়ালে পুলিশকে প্ররোচিত করে গুলি চালাতে বাধ্য করতে পারে ৷ ফলে পুলিশ সচেতন থাকবে । এ দিন তাই আন্দোলনকারীরা কোনোভাবেই লাঠি জাতীয় কিছু নিয়ে যেতে না পারে, সেটা পুলিশ লক্ষ্য রেখেছে । অন্যদিকে গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এসএফআই-এর কর্মী-সমর্থকরা এ দিন আন্দোলনে অংশ নিতে পারে । তবে সংগঠনের নেতারা নিজেরা আন্দোলনে সামিল না হয়ে নিচুতলার কর্মীদের ট্রেনে চেপে কলকাতা যাবে ।
নবান্ন অভিযানকারীদের থেকে জাতীয় পতাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ (নিজস্ব চিত্র) বিজেপির অভিযোগ, যেখানে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ-সহ অন্যান্য জায়গায় মহিলাদের সুরক্ষা পুলিশ দিতে পারে না, রাতের অন্ধকারে পুলিশের সামনেই আরজি করে দুষ্কৃতীরা হামলা করার সাহস দেখায় । পুলিশ নিজেকে বাঁচাতে অন্য জায়গায় আশ্রয় নেয় । সেই পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারে না । অথচ বিজেপির দলীয় কর্মীরা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আন্দোলনে নামলে পুলিশ সেই জাতীয় পতাকা কেড়ে নেয় ।
বর্ধমান স্টেশনে জাতীয় পতাকা নিয়ে নবান্ন অভিযানে আন্দোলনকারী৷ (নিজস্ব চিত্র) যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, আন্দোলনের নামে রাম-বাম যোগ যে স্পষ্ট সেটা বোঝা যাচ্ছে। তারা তো আন্দোলনের নামে অশান্তি তৈরি করতে যাচ্ছে । কারণ, আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে সকলেই সুবিচার চাইছে । আর বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে ।
বিজেপি নেতা সুমিত দত্ত বলেন, ‘‘আমরা তো কোনও লাঠি নিয়ে গন্ডগোল করতে যাচ্ছি না । জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি । সেক্ষেত্রে পুলিশ জাতীয় পতাকা থেকে লাঠি খুলে নেয় কোন সাহসে ? আমরা ছাত্র-যুবদের ডাকে নবান্ন অভিযানে সামিল হয়েছি । কিন্তু পুলিশ এত চিন্তিত কেন, যে জাতীয় পতাকা নিয়ে গেলেও ভয় পাচ্ছে । আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছে । এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পতন হবে ।’’