নিউটাউন, 23 মার্চ: খালে পড়ে লাল রঙের ট্রলিব্যাগ ৷ সেই ব্যাগ থেকেই সাতসকালে উদ্ধার হল প্রৌঢ়ের রক্তাক্ত দেহ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের টেকনো সিটি থানার পাঁচুরিয়া এলাকায় ৷ মৃতের নাম সুবোধ সরকার । তাঁর বাড়ি সোদপুরের ঘোলায় । পুলিশে এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে ৷ লিব্যাগ থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাবাসীদের মধ্যে ৷
সূত্রের খবর, বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তির নাম সুবোধ সরকার। তিনি সোদপুরে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ভুবনেশ্বরে তাঁর প্রিন্টিং প্রেস ছিল। সেখানেই তাঁর বাড়িও। সেই সম্পত্তি বিক্রি করে উত্তর 24 পরগনায় চলে এসেছিলেন । টাকা রেখেছিলেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে। এদিন তাঁর দেহ উদ্ধারের পরেই তদন্তে নামে টেকনো সিটি থানার পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থেকে বেসরকারি ব্যাঙ্কের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে এক তরুণীর ভূমিকাও। প্রৌঢ়ের বিপুল অর্থই অনর্থ হল বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পটাশপুর এলাকায় নাকা চেকিংয়ের সময় একটি অ্যাপ ক্যাব দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। ওই গাড়িতে রক্ত লেগেছিল। এরপরেই সেই গাড়িতে থাকা সৌম্য জানাকে আটক করে পুলিশ। তিনি একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিলেশন অফিসার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে একটি মৃতদেহ নির্জন জায়গায় ফেলার জন্য অ্যাপ ক্যাবটিকে ভাড়া করা হয়েছিল। সৌম্যর জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন শনিবার ভোরে নিউটাউনে নালার ধার থেকে ট্রলিব্যাগে সুবোধবাবুর দেহ মেলে। কী কারণে তাঁকে খুন করা হল তা জানার জন্য ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শনিবার স্থানীয়রাই প্রথমে নিউটাউনের পাঁচুরিয়া এলাকায় কারিগরি ভবনের পিছনের খালে বন্ধ ট্রলি ব্যাগটিকে পড়ে থাকতে দেখে ৷ ব্যাগ থেকে চুঁইয়ে পড়ছিল রক্ত ৷ এলাকাবাসীরাই ব্যাগটি দেখে স্থানীয় থানার পুলিশকে খবর দেয় ৷ পুলিশ এসে ব্যাগটি উদ্ধার করে ৷ তদন্ত শুরু করেছে টেকনো সিটি থানা ৷