রায়দিঘি, 4 নভেম্বর: ভাইফোঁটার রাতে এক ব্যক্তির গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ 24 পরগনার রায়দিঘিতে । বাড়ি থেকে মাত্র 500 মিটার দূরে দেহটি দেখতে পান এলাকাবাসীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় রায়দিঘি থানার পুলিশ ৷ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায় তারা ৷ কে বা কারা নৃশংস এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ? তদন্ত করেছে পুলিশ ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম দিলীপ নাইয়া (34) ৷ বাড়ি রায়দিঘি থানার অন্তর্গত সিংহেরচক বকুলতলা এলাকায় । কলকাতায় কাজ করতেন তিনি ৷ পুজোয় ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিলেন । স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, "ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান শেষ করে রবিবার রাতে আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ৷ রাত 1টা 30 মিনিট নাগাদ হঠাৎ বাড়ির সামনে এক ব্যক্তির আওয়াজ পাই । প্রথম ভেবেছিলাম কোনও চোর বাইক চুরি করতে এসেছে । সেই ভেবে তড়িঘড়ি বাইরে বেরিয়ে দেখি রক্তে ভেসে যাচ্ছে ৷ এরপর আমরা রায়দিঘি থানায় খবর দিই ৷"
তদন্তে রায়দিঘি থানার পুলিশ (ইটিভি ভারত)
খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ ৷ ব্যক্তিকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ ৷ হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয় ৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায় । ঘটনা প্রসঙ্গে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, "মৃত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি । ওই ব্যক্তির সঙ্গে কোনও ব্যক্তির পূর্ব শত্রুতা ছিল কি না, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে । পরিবারের কাছ থেকে সমস্ত রকম তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চলছে । দ্রুত তদন্ত করে এই খুনের কিনারা করা আমাদের প্রধান লক্ষ্য ৷"
মৃত ব্যক্তির মা বলেন, "আমার ছেলে এখানে থাকত না ৷ কলকাতায় কাজ করে ৷ দুর্গাপুজার ছুটি নিয়ে বাড়িতে এসেছিল ৷ কালীপুজার পর ওর আবার কাজে যোগে কথা ছিল। কিন্তু কীভাবে কি হয়ে গেল, আমরা বুঝে উঠতে পারছি না । কি কারণে আমার ছেলেকে এমন নৃশংসভাবে খুন হতে হল, আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না । পুলিশ তদন্ত করুক এবং আমার ছেলের খুনিকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক।"