গ্রেফতার রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বাঁশদ্রোণী থানায় রাতভর অবস্থানের পর পদক্ষেপ পুলিশের - ROOPA GANGULY ARRESTED - ROOPA GANGULY ARRESTED
Bansdroni Student Death Row: গতকাল বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় এক স্কুল পড়ুয়া পে লোডারের চাকার তলায় পড়ে যায় ৷ ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পথ দুর্ঘটনায় ছাত্রমৃত্যুতে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি নেত্রী 14 ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ করেন বাঁশদ্রোণী থানার বাইরে। সকালে গ্রেফতার করা হল রূপাকে।
কলকাতা, 3 অক্টোবর: বাঁশদ্রোণী থানায় সারা রাত অবস্থানের পর অবশেষ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁকে মহিলা পুলিশ দিয়ে টেনে গাড়িতে বসিয়ে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে। পথ দুর্ঘটনায় ছাত্রমৃত্যুতে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিজেপি নেত্রী 14 ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ করেন বাঁশদ্রোণী থানার বাইরে। সকালে গ্রেফতার করা হল রূপাকে।
এই বিষয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক ইটিভি ভারতকে জানান, অনুমতি ছাড়াই তিনি থানার ভিতরে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন ৷ এর জন্য থানার আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছিল। সে জন্যই তাঁকে পুলিশ দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় এক স্কুল পড়ুয়া পে লোডারের চাকার তলায় পড়ে যায় ৷ ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটলেও স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জকে ঘটনাস্থলে না পাঠিয়ে পার্শ্ববর্তী পাটুলি থানার অফিসার ইনচার্জকে পাঠানো হয়। এর পরই পাটুলি থানার ওই অফিসার ইনচার্জকে কার্যত হেনস্তা করে উত্তেজিত এলাকাবাসি। পাটুলি থানার অফিসার ইনচার্জকে আটকে রাখা হয় ৷ এরপরেই আটক ওসিকে ছাড়াতে গেলে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, ঘটনাস্থলে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে বহিরাগতরা ঢুকে তাণ্ডব চালায়। সেখানে আন্দোলনরত মহিলাদের কার্যতা ধাক্কা দেয় পুরুষরা।
ঘটনার পর ঘটনাস্থলে আসেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সাউথ সাবারবান বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, "এই ঘটনায় যাঁরা যাঁরা যুক্ত রয়েছে, তাঁদেরকে গ্রেফতার করব ।" তারপর থেকেই রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির কর্মীরা থানার ভিতরে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত রূপা থানার ভেতরে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। এর পরেই রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে সেখান থেকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে তাঁকে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।