হিলি (বালুরঘাট), 30 জুলাই: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের আগেই 80 লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার ৷ ঘটনায় এক মহিলা পাচারকারীকে আটক করল বিএসএফ ৷ মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ৷ ধৃত মহিলাকে জেরা করে উদ্ধার হওয়া সোনার ক্রেতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের তরফে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই খবর জানানো হয়েছে ৷
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের 61 নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা বর্তমানে হিলি সীমান্তে নজরদারি চালাচ্ছেন ৷ এদিন সকাল আটটা নাগাদ ব্যাটেলিয়নের মহিলা জওয়ানরা জামালপুর এলাকায় এক ভারতীয় মহিলাকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখেন ৷ ওই মহিলাকে আটক করে তল্লাশি চালান জওয়ানরা ৷ প্রথমে তাঁর হেফাজত থেকে কিছু পাওয়া যায়নি ৷ তখনই জওয়ানদের নজরে পড়ে, ওই মহিলার জুতোয় কালো সেলোটেপ বাঁধা রয়েছে ৷ সেই সেলোটেপ খুলতেই জুতোর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে 10টি সোনার বিস্কুট ৷ বিস্কুটগুলির মোট ওজন 1166 গ্রাম ৷ বর্তমানে যার বাজারমূল্য 80 লক্ষ 70 হাজার 104 টাকা ৷ এরপরেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ধৃতের বাড়ি কাঁটাতারের ওপারে থাকা ভারতীয় জামালপুর গ্রামে ৷
বিএসএফের জেরায় ধৃত মহিলা জানান, ওই সোনার বিস্কুটগুলি তিনি হিলির কিসমতদাপট গ্রামের বাসিন্দা শিবেন্দ্রনাথ মহন্তকে দিতে যাচ্ছিলেন ৷ এই তথ্য পাওয়ার পরেই বিএসএফ ও হিলি থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় ত্রিমোহিনী এলাকায় বাড়ি থেকে শিবেন্দ্রনাথকে গ্রেফতার করে ৷ বিএসএফের তরফে উদ্ধার হওয়া সোনা এবং ধৃত দু'জনকে হিলি শুল্ক বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷
বিএসএফের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, গত 10 জুলাই হিলিরই হাড়িপুকুর গ্রামের বাসিন্দা, 21 বছর বয়সি আশিক মণ্ডলকে দু'টি সোনার বিস্কুট-সহ গ্রেফতার করা হয় ৷ ভারতের হাড়িপুকুর গ্রামটিও ইন্দো-বাংলা সীমান্তের ওপারে ৷ এভাবে সীমান্তের ওপারে থাকা ভারতীয় গ্রামগুলি যে চোরাপাচারের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে, তা অনেকদিন আগেই টের পেয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷
তার উপর হিলির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের বেশ কিছুটা অংশে ভৌগোলিক কারণের জন্য ত্রিস্তরীয় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া যায়নি ৷ সেই কারণেই সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সিদ্ধান্ত নেয়, হিলি সীমান্তের পুরো অংশেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে ৷ তার জন্য দেড়গুণ দামে জমি কিনতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার ৷ এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সীমান্তের মানুষজন ৷ অধিগ্রহণ না করে কেন রাজ্য জমি কিনছে তা নিয়েই তাঁদের প্রশ্ন ৷ অনেকে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতাও করেছেন ৷ তাঁদের বক্তব্য, জমির মালিকদের সরকারি সুযোগ সুবিধে থেকে বঞ্চিত করতেই অধিগ্রহণ না করে রাজ্য সরকার জমি কেনা শুরু করেছে ৷