শিলিগুড়ি, 6 ডিসেম্বর: হোটেলে থাকতে দেওয়া বন্ধ হোক বাংলাদেশীদের । যাঁরা রয়েছে তাদেরও হোটেল ছাড়ার নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হোক, যাতে তাঁরা দেশ ছাড়তে পারে । বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার বিরুদ্ধে এবার সোচ্চার হল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ ৷ এই দাবিকে সামনে রেখে শুক্রবার শিলিগুড়ির হোটেল মালিকদের সংগঠনের কাছে বাংলাদেশী পর্যটকদের হোটেলে ঠাঁই না দেওয়ার দাবি জানাল তারা । শুধু তাই নয়, হোটেল থেকে খুলিয়ে দেওয়া হল বাংলাদেশের ঢাকার সময়ের ঘড়িও ।
বাংলাদেশের বহু মানুষই এরাজ্যের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর নির্ভরশীল । পর্যটনের পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর অন্তত দেড় লক্ষ মানুষ এরাজ্যে এসে থাকে । শিলিগুড়ি হয়ে পাহাড়ের বিভিন্ন ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে বাংলাদেশী পড়ুয়ার সংখ্যাটাও নেহাত কম নয় । এছাড়াও চিকিৎসার জন্য অনেকে এসে থাকে শিলিগুড়িতে । এবার যাতে কোনও বাংলাদেশীকে হোটেলে উঠতে না দেওয়া হয় এবং যাঁরা আগে থেকে আছেন, তাঁদের যাতে অবিলম্বে হোটেল ছাড়তে বাধ্য করা হয় এমনটাই দাবি জানাল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ।
বাংলাদেশীদের হোটেলে ঢোকা বন্ধ করতে নয়া অভিযান বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের (ইটিভি ভারত) এর আগে অবশ্য মালদার হোটেল ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশী পর্যটকদের হোটেলে উঠতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে । এবার সেই দাবি জানিয়ে শিলিগুড়ি গ্রেটার হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দ্বারস্থ হল মহামঞ্চ । শিলিগুড়িতে প্রায় তিনশোটিরও বেশি হোটেল রয়েছে । প্রতিদিন গড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার বাংলাদেশী শিলিগুড়িতে আসেন ।
হোটেলে স্মারকলিপি জমা দিচ্ছে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ (ইটিভি ভারত) এই বিষয়ে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চর সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, "যেভাবে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে, যেভাবে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে আমাদের এই প্রতিবাদ । শিলিগুড়ির কোনও হোটেলে যাতে বাংলাদেশীদের ঠাঁই না-দেওয়া হয়, সেই দাবি হোটেল মালিকদের জানানো হয়েছে । আগামীতে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসক সংগঠনের কাছেও এই দাবি জানানো হবে, যাতে তারা কোন বাংলাদেশীকে পরিষেবা না দেন ।"
এই বিষয়ে শিলিগুড়ি গ্রেটার হোটেলিয়ার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, "আমরাও বাংলাদেশে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তার বিরোধিতা করছি । তবে হোটেলে বাংলাদেশীদের উঠতে দেওয়া হবে কি না, সেটা সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।"