কলকাতা, 29 অগস্ট: আরজি কর কাণ্ডে নয়া মোড় ৷ তিনটি অডিয়ো ভাইরাল হয়েছে, যা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে ৷ সেই অডিয়োগুলি 9 অগস্ট রাতের বলে দাবি করা হচ্ছে ৷ সেদিনের ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে তিনবার ফোন করা হয়েছিল চিকিৎসক ছাত্রীর বাবা-মাকে ৷ বলা হচ্ছে যে, ওই তিনটি ফোনের কথোপকথনের অডিয়োই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে ৷ যদিও সেই অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোনের অডিয়ো ভাইরাল (ভাইরাল হওয়া অডিয়ো) 9 অগস্ট ঠিক কী হয়েছিল ? সেই নিয়ে কাটছে না ধোঁয়াশা । মৃতার মা-বাবার অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে তাঁদের একাধিকবার ফোন করা হয়েছিল ৷ সেখানে তাঁদের জানানো হয় যে, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে । কেন আত্মহত্যার তত্ত্বই প্রথমে তুলে ধরা হল, তাই নিয়েও বিতর্ক দানা বাঁধে ৷ তাহলে কি প্রথম থেকেই সত্য আড়াল করার চেষ্টা চলছে ? এই প্রশ্নে জেরবার হতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ৷ বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও মৃতার বাবা-মায়ের ফোনের কথোপকথনের সেই অডিয়োই ভাইরাল হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে ৷
ঠিক কী রয়েছে তিনটি অডিয়োয় ?
হাসপাতাল থেকে তিনবার ফোন করা হয়েছিল ওই মহিলা চিকিৎসকের পরিবারকে । প্রথমে একজন মহিলা ফোন করেন । সেই ফোনটি ধরেন নির্যাতিতার বাবা । তাঁকে ওই মহিলা বলেন, "আমি আরজি কর হাসপাতাল থেকে বলছিলাম । ওর শরীরটা খুব খারাপ । ওকে হাসপাতালে আমরা ভর্তি করাচ্ছি । যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনারা হাসপাতালে আসুন ।"
ওই সময় মহিলা চিকিৎসকের মা এবং বাবা বারবার জিজ্ঞেস করেন, "ওর শরীরের কী সমস্যা হয়েছে ? জ্বর নাকি অন্য কিছু ? খুব গুরুতর ?" উত্তরে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আসতে বলে ফোন কেটে দেন ওই মহিলা ।
এরপর আবার ফোন আসে । তখন নিজের পরিচয় দিয়ে এক মহিলা বলেন, "আমি ডাক্তার নই, অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার । ওর কী হয়েছে সেটা ডাক্তাররাই বলতে পারবেন । আপনারা দেরি না-করে এক্ষুণি হাসপাতালে আসুন । ওকে আমরা জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছি ।" তখন আবারও ওই মহিলা চিকিৎসকের মা প্রশ্ন করেন, "ও তো ডিউটিতে ছিল । কী হল ওর ?" যার উত্তরে বলা হয়, দ্রুত হাসপাতালে আসার কথা ।
এর পরেই আসে তৃতীয় ফোন । ওই ফোনে আশপাশের আওয়াজ শুনে বোঝা যায়, সেই সময় নির্যাতিতা চিকিৎসক ছাত্রীর পরিবার রাস্তায় ছিলেন । আর তখনই বলা হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন । এমনকি এইবার ফোনটাও করেছিলেন ওই মহিলা অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার । তিনি বলেন, "তখন আপনাকে বলছিলাম ও অসুস্থ । আসলেন না, ও আত্মহত্যা করেছে হয়তো, মারা গিয়েছে । পুলিশ আছে, আমরা সবাই আছি ।"