দুর্গাপুর, 26 ফেব্রুয়ারি: পানাগড়ে দুর্ঘটনায় মৃত যুবতীর এক সহকর্মী-সহ দু’জনকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে গেল কাঁকসা থানার পুলিশ । পুলিশের দাবি, আদালতে গোপন জবানবন্দির জন্য দু’জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । পরে তারা গোপন জবানবন্দী দেন। আদালতে যাওয়ার সময় অবশ্য মন্টু ঘোষ এবং তাঁর দাদা কোনও প্রশ্নের উত্তর দেননি । শুধু মণ্টু ঘোষের দাদা জানান, ঘটনার দিন তিনি সেখানে ছিলেন না ।
বুধবার সকালে বর্ধমানের বাসিন্দা মন্টু ঘোষ ও তাঁর দাদাকে পুলিশ কাঁকসা থানায় ডেকে পাঠায় । এরপর এদিন দুপুরে দু’জনকে কাঁকসা থানা থেকে পুলিশ গাড়িতে করে তাঁদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যায় । মন্টু বিচারকের সামনে যে গোপন জবানবন্দি দিয়েছেন তা তদন্তের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। ঘটনার পর থেকেই সুতন্দ্রা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে তবে কাঁকসা থানায় দায়ের হওয়া লিখিত অভিযোগ সেই বক্তব্য নেই ৷ এমতাবস্থায় মন্টুর গোপন জবানবন্দীর উপরক তদন্তের অনেকটাই নির্ভর করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, ইতিমধ্যে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কাঁকসা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে । ওই যুবক দুর্ঘটনার রাতে বাবলুর সঙ্গেই গাড়িতে ছিলেন কি না, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু বলতে চায়নি । তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবককে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার অভিষেক গুপ্তা ৷