আরামবাগ, 11 মার্চ: এক সময়ের বামদুর্গগুলি অধিকাংশই তৃণমূলের খাসতালুকে পরিণত হয় বাংলায় রাজনৈতিক পালাবদলের সময় থেকে ৷ আরামবাগ লোকসভা আসনও সেগুলির মধ্যে একটি ৷ 2014 সালে এই আসনে সিপিএমের শক্তিমোহন মালিককে হারিয়ে সাংসদ হন তৃণমূল কংগ্রেসের অপরূপা পোদ্দার ওরফে আফরিন আলি ৷ 2019 সালেও তিনি জয়ী হন ৷ তবে এবার আর তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল ৷
যদিও ভোটের ময়দানে তাঁর পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে ৷ কারণ, তাঁর রিপোর্ট কার্ডের উপর ভিত্তি করেই ভোটের ময়দানে নামতে হবে বাংলার শাসক দলকে ৷ সাংসদের অবশ্য দাবি, তিনি ভালোই কাজ করেছেন ৷ তাঁর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে আরামবাগে সাংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে 17 কোটি 85 লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে ৷ তাঁর আরও দাবি, আরামবাগের কৃষিক্ষেত্র থেকে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষ, আরামবাগের রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে । ডানকুনি থেকে আরামবাগ হয়ে বর্ধমান বাঁকুড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে । সার্বিকভাবে উন্নয়ন করা হয়েছে এলাকায় ৷
একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী কাজ হয়েছে আরামবাগে -
- খানাকুল বিধানসভার জন্য প্রায় 2 কোটি 22 লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে৷ এর মধ্যে বিদ্যালয়ের সাইকেল শেড তৈরি হয়েছে ৷ খানাকুল হাসপাতালে অক্সিজেনের পরিকাঠামো তৈরি ও গ্রিন জেনারেটরের জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ৷
- পুরশুড়ায় 60 লক্ষ 77 হাজার টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ, হাসপাতালে গ্রিন জেনারেটর-সহ একাধিক কাজ হয়েছে ৷
- আরামবাগ, তারকেশ্বর ও চন্দ্রকোনায় ট্রমাকেয়ার অ্যাম্বুলেন্স, বন দফতরের জন্য গাড়ি, হাই মাদ্রাসার জন্য শ্রেণিকক্ষ৷
- গোঘাট বিধানসভায় 2 কোটি 45 লক্ষ 92 হাজার টাকা দিয়ে সাতবেড়িয়া পার্ক, কামারপুকুর মিশনে শ্রেণিকক্ষ ও সাইকেল শেড ৷
- হাই মাদ্রাসা ও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের কাজ ৷
- হুগলি গ্রামীণ এলাকায় প্রথম ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরি করা হয়েছে ৷
তাছাড়া সাংসদের দাবি, ফোরলেন রাস্তা থেকে শুরু করে দিগরুইঘাটে নদীর উপর ব্রিজ, অপরদিকে খানাকুলের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি বদলের জন্য গণেশপুর থেকে নতিবপুর ব্রিজ তৈরির জন্য লোকসভায় সরব হয়েছেন ৷ এই ব্রিজ হলে হাওড়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হবে ।