কৃষ্ণনগর, 26 নভেম্বর: ভয়াবহ দুর্ঘটনা ৷ সিগনালে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকে ধাক্কা উল্টোদিক থেকে আসা লরির ৷ ধাক্কায় ঘটনাস্থলে মৃত্যু এক কিশোরী ও এক ব্যক্তির ৷ প্রশাসনিক গাফিলতির অভিযোগ তুলে পুলিশ কিয়স্ক ভাঙচুর উত্তেজিত জনতার ৷ পাল্টা লাঠিচার্জ পুলিশের ৷ ঘটনায় রণক্ষেত্র নদিয়ার কৃষ্ণনগর ৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার রাতে কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কামাল খান নামে এক ব্যক্তি ৷ বাইকে ছিল সম্পর্কে তাঁর ভাগ্নি নিলুফা ওরফে বৃষ্টি ৷ করিমপুর থেকে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিল বাইকটি ৷ সেই সময়, আচমকা ট্রাফিক আইন না-মেনে দ্রুত গতিতে উল্টো দিক থেকে এগিয়ে আসে একটি লরি ৷ ধাক্কা মারে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা কামাল খানের বাইকে ৷ টানতে টানতে কিছুটা দূর বাইকটি নিয়ে যায় বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের ৷ ফলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বছর 12-এর কিশোরীর ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মামা কামাল খানকে ৷
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি ৷ উত্তেজিত জনতার অভিযোগ, ট্রাফিক সিগন্যালে একটি পুলিশ কিয়স্ক রয়েছে ৷ কিন্তু তাঁরা ঠিকমতো নিজেদের দায়িত্বপালন করতে পারেন না ৷ ট্রাফিক সিগন্যাল সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর নেই প্রশাসনের ৷ ট্রাফিক পুলিশের গাফিলতিতে এদিন কিশোরীর প্রাণ গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা ৷ এরপর রাস্তার ধারের পুলিশ কিয়স্কে ভাঙচুর চালায় উত্তেজিত জনতা ৷
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ । পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তেজিত জনতার উপর লাঠিচার্জ শুরু করা হয় ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্বিচারে পুলিশ সকলের উপর লাঠিচার্জ করেছে ৷ ফলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ৷ এরপর আরও পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ৷