কাকদ্বীপ, 20 অক্টোবর: আগামী 31 অক্টোবর কালীপুজো ৷ তার আগে দুর্যোগ ঘনাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ ও উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ৷ আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী 22-24 অক্টোবর ঘূর্ণাবর্তের কারণে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ৷ সঙ্গে 50-60 কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে ৷ সেই কারণে, এই তিনদিন মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলা প্রশাসন ৷
22-24 অক্টোবর মৎস্যজীবীদের যেমন গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে, তেমনই উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্ক করেছে প্রশাসন ৷ এর মূল কারণ, ঘূর্ণাবর্তের জেরে হওয়া অতিভারী বৃষ্টির প্রভাব সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় সবচেয়ে বেশি পড়বে বলে পূর্বাভাস ৷ এমনকি উপকূলবর্তী এলাকার গ্রামগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে ৷ আজ সকাল থেকে প্রশাসনের তরফে মাইকিং শুরু করা হয়েছে ৷ সেচ দফতরের তরফে জেলার মৎস্যজীবী সংগঠনগুলির কাছে নির্দেশিকা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৷
গভীর নিম্নচাপের জেরে মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি ৷ (ইটিভি ভারত) সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেসব ট্রলার ইতিমধ্যে সমুদ্রে গিয়েছে মাছ ধরতে, সেগুলিকে 21 অক্টোবরের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে হবে ৷ এ নিয়ে কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যে সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে উপকূলে ফিরে আসতে বার্তা পাঠিয়েছেন ৷ আশা করা হচ্ছে, আগামিকালের মধ্যে মৎস্যজীবীদের সব ট্রলার ঘাটে ফিরে আসবে ৷
সেই সঙ্গে সুন্দরবনের এলাকাগুলিতেও সতর্কিকরণের প্রচার চালানো হচ্ছে ৷ সেখানকার সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলিতে প্রচার চালানো হচ্ছে ৷ ইতিমধ্যে ত্রাণশিবির প্রস্তুত রাখা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফে ৷ সঙ্গে শুকনো খাবার মজুত করে রাখতে বলা হয়েছে ৷ আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে ৷ সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে ৷ ফলে খুব প্রয়োজন না-পড়লে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ 23 অক্টোবর দিনভর ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় ৷