কলকাতা, 20 মার্চ: লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম বড় অস্বস্তির নাম সন্দেশখালি। সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারংবার রাজ্যে এসে সন্দেশখালি এবং সেখানকার নারী নির্যাতনের প্রশ্নে সরব হয়েছেন। এদিকে, সন্দেশখালি ঘটনার পর বুধবার প্রথম বসিরহাট মহকুমায় গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ। বসিরহাটে দাঁড়িয়ে অভিষেক কী বলেন, সেদিকে গোটা রাজ্যের মানুষের চোখ ছিল।
এই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পরে সন্দেশখালি। কার্যত সেখানে ভোট প্রচারে এসে অভিষেকের বক্তব্য ছিল প্রাসঙ্গিক। কিন্তু এখানে অভিষেক স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ নয়, সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির হইচইয়ের লক্ষ্য অন্য। নারী নির্যাতন যদি বিজেপির অন্যতম প্রচারের অস্ত্র হয় তাহলে কেন শিবু হাজরা থেকে শুরু করে উত্তম সর্দারদের এখনও নিজেদের হেফাজতে নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।
এদিন বসিরহাটের মাটি থেকে ভোট প্রচারে এসে অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছেন, "পঞ্চায়েত বা বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা জয়ী হয়েছে মানে যা খুশি তাই করার ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছেন ৷ দল এটা বরদাস্ত করবে না। যে কোনও স্তরের পঞ্চায়েতে প্রতিনিধিরা যদি কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বা যদি ভেবে নেন আমি পঞ্চায়েতে জিতেছি মানে হাতির পাঁচ পা দেখব। কোনও অভাব-অভিযোগ পেলে তাকে রেওয়াদ করা হবে না।"