ব্যারাকপুর, 13 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে আবারও মুখ খুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের যে অভিযোগ উঠেছে,তা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ৷
এদিন তিনি বলেন, "টিভিতে যে সমস্ত ঘটনা দেখছি বা শুনছি, রাতের বেলায় মহিলাদের নাকি ডেকে পাঠানো হত। এটার সঙ্গে সাধারণত পরিচিত নয় পশ্চিমবঙ্গ। আমার জ্ঞান হওয়ার পর এই সমস্ত কখনও শুনিনি। এটুকু বলতে পারি এই ঘটনায় আমি ক্রুদ্ধ এবং ক্ষুব্ধ। কিন্তু আপাতত মুখ বন্ধ রাখছি।" তিনি আরও বলেন, "একটা প্রশ্ন অনেকের মতো আমার মনেও উঠে আসছে, প্রশাসন কী জানত না এমন ঘটনা ঘটছে? নাকি পুলিশ-প্রশাসন জেনেও চোখ বন্ধ করেছিল?"
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর বাড়ির গণেশ পুজোর অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ব্যারাকপুরে আসেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখান থেকে বেরনোর সময় সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন তিনি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, "আগের কথা আমি বলতে পারব না। খুব বেশিদিনের ব্যাপার নয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জোর করে মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। সেটা জানা থাকলেও রাত্রিবেলা কাউকে পার্টি অফিসে যেতে বলা হচ্ছে, এটা আমার কাছে পরিচিত ঘটনা নয়। যাঁরা এই কাজ করেছে তাঁরা দুর্বৃত্ত।"
এদিকে, সন্দেশখালিতে144 ধারা খারিজ হওয়ার পর আবার তা জারি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। সেই প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "করুক না। আদালত তো আছে। আদালত আদালতের কাজ করছে।" উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ যে মহিলাদের ‘আলাদা’ চোখে দেখতেন শাহজাহানের শাগরেদ শিবপ্রসাদ হাজরা ওরফে শিবু বাহিনীর লোকেরা। জোর করে তাঁদের মিটিং-মিছিলে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত। রাতের দিকেও বাড়িতে ডেকে পাঠানো হত। না-গেলেই দেওয়া হত হুমকি। সে সব অভিযোগ নিয়ে রাজ্য জুড়ে তো বটেই, এবার জাতীয় স্তরেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বিষয়টি নিয়ে সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী কী ঘটেছে, তা গোটা দেশের জানা উচিত বলেও মন্তব্য করেন স্মৃতি।