কাকদ্বীপ, 29 জুলাই: পেশার তাগিদে ও ভরা বর্ষায় বাঙালির পাতে ইলিশের যোগান দিতে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিল 'মা অষ্টমী' ট্রলার ৷ সেই ট্রলারে ছিলেন 15 জন মৎস্যজীবী। শনিবার কেঁদো দ্বীপের কাছে সামুদ্রিক ঝড়ো হাওয়া ও উত্তাল সমুদ্রের কারণে মাছ ধরার সময় হঠাৎই মাছ ধরা ট্রলার থেকে চারজন মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে পড়ে যান। তাঁদের মধ্যে থেকে তিন জন উদ্ধার হলেও একজনের খোঁজ নেই ৷ নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম গোপাল মণ্ডল ৷
সমুদ্রে পড়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবী (ইটিভি ভারত) জানা গিয়েছে,বেশ কয়েকদিন ধরেই মৎস্যদজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধাজ্ঞা ছিল ৷ সেটি উঠতেই ইলিশের সন্ধানে ট্রলারটি শুক্রবার কুলতলির সানকিজাহান ঘাট থেকে রওনা দিয়েছিল ৷ ট্রলারটিতে কুলতলী ও ঝড়খালি এলাকার প্রায় 15 জন মৎস্যজীবী ছিলেন ৷ 27 জুলাই ভোররাতে কেঁদো দ্বীপের কাছে ট্রলারটি পৌঁছতেই গভীর সমুদ্রে ঝড়ো হাওয়ায় টাল সামলাতে না-পেরে 4 মৎস্যজীবী গভীর সমুদ্রে ছিটকে পড়ে যাযন।
অন্য ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা তাঁদেরকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন ৷ 3 জন মৎস্যজীবীকে নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও, ঝড়খালি এলাকার বাসিন্দা গোপাল মন্ডল তলিয়ে যান। বেশ কিছুক্ষণ ধরে গোপালের খোঁজে তল্লাশি চালানো হলেও তাঁর সন্ধান পেতে ব্যর্থ হয় উদ্ধারকার্যে এগিয়ে আসা ট্রলার গুলি।
ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে উপকূল রক্ষী বাহিনী ও প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ নিখোঁজ মৎস্যজীবীর সন্ধানে কেঁদো দ্বীপের কাছে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী । ঘটনা প্রসঙ্গেই কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, "কুলতলীর সানকিজাহান এলাকা থেকে একটি ট্রলার গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিল ৷ কেঁদো দ্বীপের কাছে মাছ ধরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। উত্তাল সমুদ্রে 4 মৎস্যজীবী ট্রলার থেকে জাল তুলছিল ৷ সেই সময়েই গভীর সমুদ্রে পড়ে যায়। মৎস্যজীবী ট্রলারদের সহযোগিতায় তিন জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও এখনো পর্যন্ত এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছে নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম গোপাল মণ্ডল।"