কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর: অনৈতিকভাবে প্রভাব খাটানো থেকে শুরু করে ভয় দেখানো নিয়ে আরজি করের পাশাপাশি সরব হয়েছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল । এখানকার কয়েকজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা । রবিবার সেই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বৈঠকে কড়া পদক্ষেপ নিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী সংসদ ।
এদিনের বৈঠকে অভিযুক্ত ওই তিন চিকিৎসক অধ্যাপককে নিয়ে আলোচনা করা হয় । সেখানে চিকিৎসক মানব নন্দী, সুহেনা সরকার এবং তপন কুমার নস্করকে প্রাক্তনী সংসদ থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । এই তিনজনের বিরুদ্ধেই বেশ কিছু অভিযোগ ছিল । এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যে সিন্ডিকেট চলত, তার ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই তিন চিকিৎসক । অভিযোগ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও সেই সিন্ডিকেট চালাতেন এই তিনজন । পড়ুয়াদের ভয় দেখানোর পাশাপাশি বিভিন্ন রকম হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে ৷ সেই জন্যই এই পদক্ষেপ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তনী সংসদের ।
প্রসঙ্গত, এর আগে কলেজ কাউন্সিলিংয়ের বৈঠক করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল মেডিক্যাল কলেজের ডিন মানব নন্দীকে । এর সঙ্গে ঠিক হয়েছিল, বাকি 4 জন বর্তমানে কোনও ক্লাস নিতে পারবে না । এমনকী বাকি কলেজের দায়িত্বও তাঁরা পালন করতে পারবেন না । সেই চার জন অধ্যাপক চিকিৎসক হলেন চিকিৎসক সুহেনা সরকার, চিকিৎসক ইশিতা সেনগুপ্ত, চিকিৎসক তপন নস্কর এবং শমীকা বিশ্বাস।
হাসপাতালের প্রাক্তনী সংসদ থেকে বরখাস্ত 3 চিকিৎসক, কড়া পদক্ষেপ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের - RG Kar Doctor Rape and Murder
Medical College Kolkata: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই তার আঁচ পড়তে শুরু করেছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ৷ এবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাক্তনী সংসদ থেকে তিন চিকিৎসককে বরখাস্ত করা হল ৷
Published : Sep 1, 2024, 9:32 PM IST
অভিযোগ ছিল, এক ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলা হয় হস্টেল পেতে গেলে টিএমসিপি অর্থাৎ তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতে হবে । যদি তা না করে তাহলে হস্টেল পাবে না । পরবর্তীতে পড়াশোনার ক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি হবে । এমনকী পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ । এই অভিযোগের পরেই ওই ছাত্রী কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল বিশ্বাসের কাছে অভিযোগ জানান । এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য এটি তদন্ত কমিটি গঠন করে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তারপর আজ প্রাক্তনী সংসদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷