কলকাতা, 28 মার্চ: চল্লিশ পেরোলেই চালসে, কথাটা অচন্ত্য শরথ কমল শোনেননি । বরং চল্লিশ পেরিয়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পেয়েছেন। তাই অধরা অলিম্পিক পদকের স্বপ্ন প্যারিসে পূর্ণ করতে চান শরথ কমল। দেশের এক নম্বর টেবিল টেনিস খেলোয়াড় এই মুহূর্তে বিশ্বক্রমপর্যায়ে পঁয়ত্রিশ নম্বরে রয়েছেন। বুধবার প্যাডলারদের যে বিশ্ব ক্রমপর্যায় প্রকাশ হয়েছে তাতে শরথ কমল ভারতীয়দের মধ্যে সবার ওপরে। জি সাথিয়ান রয়েছেন 60 নম্বরে। মানব ঠক্কর রয়েছেন 64 নম্বরে। আসন্ন অলিম্পিকে দলের সাফল্যের পাশাপাশি নিজের লক্ষ্য স্থির করেছেন। ইটিভি ভারতকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাতকারে শুনিয়েছেন অলিম্পিক প্রস্তুতি এবং ‘গ্রেটেস্ট শো অফ দ্য আর্থ’ ঘিরে নিজের স্বপ্নের কথা।
প্রথমবার ভারতীয় টেবিল টেনিস ছেলে এবং মেয়েদের দল অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছে । যা এর আগে কখনও হয়নি । ঐতিহাসিক ঘটনার জন্য ভারতীয় টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিচ্ছেন শরথ কমল। তিনি ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি সঞ্জয় অধিকারীকে জানালেন তাঁর অধরা স্বপ্নপূরণ করার তাগিদের গল্প ৷
- ইটিভি ভারত:প্রথমেই আপনাকে অভিনন্দন। কারণ অলিম্পিকে পতাকা বাহকের সম্মান আপনি পেয়েছেন। এই নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া ?
শরথ কমল:প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। এই দায়িত্ব আমার কাছে বিশেষ সম্মানের। অলিম্পিকের আসরে জাতীয় পতাকা বহন করার সুযোগ আমি মনে করি বিশেষ গর্বের। ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি আমার কাছে ভালোলাগারও বটে। এই দায়িত্ব দেশের টেবিল টেনিসের জন্যও গর্ব এবং সম্মানের।
- ইটিভি ভারত:আসন্ন অলিম্পিক্সে ভারতীয় ছেলে এবং মেয়ে দু’দলই প্রথমবার খেলতে যাচ্ছে। অবশ্যই গর্বের মুহূর্ত। এবারের এই চ্যালেঞ্জকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
শরথ কমল: চ্যালেঞ্জের থেকেও এই সুযোগ অর্জন থেকে আমরা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়েছি। প্রথমবার আমরা ছেলে এবং মেয়েরা কোয়ালিফাই করেছি। এর থেকে প্রমাণ হয় আমরা ভালো খেলছি। বিশ্ব পর্যায়ে আমরা পাল্লা দিচ্ছি। আমাদের মেয়েরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে 2-1 ব্যবধানে চিনের বিরুদ্ধে এগিয়ে ছিল। বিশ্বের এক এবং দু’নম্বরকে পরপর দু'টো ম্যাচে হারিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের টেবিল টেনিস যে দারুণ এগিয়েছে তা এই পারফরম্যান্স প্রমাণ করে।
- ইটিভি ভারত:বিশ্বক্রমপর্যায়ের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে আপনি, জি সাথিয়ান, মানব ঠক্কর অনেক ধাপ ওপরে উঠে এসেছেন। মণিকা বাত্রা ওপরে উঠে এসেছেন। এই যে ক্রমপর্যায়ের উন্নতি কি আপনাদের প্রস্তুতিতে সাহায্য করবে? মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করবে?
শরথ কমল:অবশ্যই আমাদের প্রস্তুতি সাহায্য করবে। মানসিকভাবে উদ্বুদ্ধ করবে, এই ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আমরা যখন অলিম্পিকের যোগ্যতা অর্জন করেছিলাম তখনই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। তারপর থেকে আমাদের পারফরম্যান্স ভালো হয়েছে। আত্মবিশ্বাসের কারণে মানসিকভাবে আমরা অনুপ্রেরণা পেয়েছি। এখন লক্ষ্য থাকবে অলিম্পিকের আগে বিশ্বক্রমপর্যায়ে আরও কিছুটা ওপরে ওঠার।
- ইটিভি ভারত:বিশ্বের যেকোনও প্রতিপক্ষের থেকে চিন এবং চাইনিজ তাইপেই চ্যালেঞ্জটা কঠিন হয়ে থাকে। অলিম্পিকেও এই দুই চ্যালেঞ্জ সামলাতে হতে পারে। তার জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বা প্রয়োজন বলে মনে হয়?