কালনা, 9 জানুয়ারি:দেশের প্রথম মহিলা হিসেবে নর্থ চ্য়ানেল পার ৷ সেইসঙ্গে মহাদেশের প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে গতবছর অগস্টে পঞ্চসিন্ধু পার করে নজির গড়েছিলেন সায়নী দাস ৷ আর সেই ঐতিহাসিক কীর্তির সুবাদে এবার জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত বাংলার সায়নী দাস ৷ 2023 তেনজিং নোরগে ন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন পূর্ব বর্ধমানের সাঁতারু ৷
বুধবার ই-মেল মারফত সায়নীকে খুশির খবর জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রীড়া ও যুবকল্য়াণ মন্ত্রকের তরফে ৷ চলতি মাসের 17 জানুয়ারি রাজধানী নয়াদিল্লিতে সায়নীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। স্বভাবতই এই খবরে খুশির উচ্ছ্বাস সায়নীর পরিবারে। সঙ্গে খুশি কালনাবাসীও। স্মারক-সহ 15 লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে সায়নীকে ৷ জাতীয় পুরস্কার জয়ের প্রতিক্রিয়ায় সায়নী বলেন, "আমার একটাই লক্ষ্য প্রতিটি চ্যানেল পার করে দেশের পতাকা ওড়ানো। এই পুরস্কার পাওয়ায় আমি গর্বিত।"
গত বছর অগস্টে ভারতের প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে নর্থ চ্যানেল জয় করে রেকর্ড গড়েছিলেন সায়নী। একইসঙ্গে এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে সপ্তসিন্ধুর (ওশিয়ান সেভেন সুইম) মধ্যে পঞ্চসিন্ধু জয়ের কীর্তি গড়ে ফেলেছিলেন বঙ্গতনয়া ৷ নর্থ চ্যানেল জয় করতে সায়নী সময় নিয়েছিলেন 13 ঘন্টা 22 মিনিট। অর্থাৎ, বাকি দুই প্রণালী (জিব্রাল্টার ও সুগারু) পেরোলেই বাংলা শুধু নয়, এশিয়ার প্রথম মহিলা সাঁতারু হিসেবে ওশিয়ান সেভেন চ্যালেঞ্জের মুকুট জিতবেন 26 বছরের সায়নী ৷ এর আগে 2017 সালে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়েছিলেন সায়নী। এরপর 2019 সালে আমেরিকার ক্যাটালিনা প্রণালী সাঁতরেছিলেন তিনি ৷ 2022 সালে মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের মলোকাই এবং গতবছরই এপ্রিলে নিউজিল্যান্ডের কুক প্রণালী জয় করেন বাংলার মেয়ে।
নর্থ চ্যানেলকে ওসিয়ান সেভেন সুইমের সবচেয়ে কঠিন প্রণালী বলে ধরা হয় ৷ গতবছর তা পার করার পর পূর্ব বর্ধমানের কালনার বারুইপাড়া এলাকার বাসিন্দা সায়নীর কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ জিব্রাল্টার প্রণালী। গতবছরই স্পেনের জিব্রাল্টার জয়ের লক্ষ্যে অনুশীলন শুরু করেন সায়নী। কিন্তু স্পনসর না-পাওয়ায় কীভাবে সেই লক্ষ্যপূরণ হবে, তা নিয়ে চিন্তায় সায়নীর পরিবার। এমন সময় এই পুরস্কার বাংলার সাঁতারুকে যে নতুন করে উদবুদ্ধ করবে, তা নিশ্চিত ৷