কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: প্রথম ম্যাচে বড়সড় ত্রুটি ধরা পড়েছে রক্ষণে ৷ দু'গোলে এগিয়ে গিয়েও হাতছাড়া হয়েছে তিন পয়েন্ট ৷ সেই রক্ষণ মেরামতি করতে নয়া বিদেশি সই করিয়ে নিল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ৷ তবে চমকের এখানে শেষ নয় ৷ সবুজ-মেরুনের নয়া বিদেশি নুনো রেইস দিনদু'য়েক আগে একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিলেন মহামেডান স্পোর্টিংয়ে ৷ আব্দুল কাদিরির পরিবর্তে তাঁকে দলে নেওয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিল আইএসএলে নবাগতরা ৷ তাই মহামেডানের মুখের গ্রাস কেড়ে সবুজ-মেরুন দলবদলের সেরা চমকটা দিল বলা যায় ৷
বাগানে রেইসের আগমনের কথা ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পায়নি ৷ তাহলে কি জেমি ম্যাকলারেন মারফৎ তাঁর মেলবোর্ন সিটির সতীর্থকে জালে তুলল মোহনবাগান ৷ সম্ভাবনা তেমনই ৷ গত মরশুমেও অস্ট্রেলিয়ার ক্লাবে একসঙ্গে খেলেছেন জেমি এবং নুনো ৷ তবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দেশের ডিফেন্ডারকে চলতি মরশুমের আগে ছেড়ে দেয় এ লিগের ক্লাবটি ৷
তবে আইএসএলে যেহেতু 6 বিদেশির রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে, তাই মনে করা হচ্ছে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টু'য়ের কথা ভেবেই দলে নেওয়া হয়েছে নুনোকে ৷ প্রথম ম্য়াচে আবার চোটের কারণে তুলে নিতে হয় আলবার্তো রদ্রিগেজকে ৷ তাই কোনও কারণে কোনও বিদেশি ডিফেন্ডার চোট পেলে তার পরিবর্ত হিসেবেও ব্যবহার করার কথা নিশ্চয় ভাবনায় রয়েছে বাগানের ৷
নুনোর সবথেকে বড় সুবিধা তিনি স্টপার ছাড়াও সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসাবেও খেলে সফল। বাগানের চুক্তিতে সই করে উচ্ছ্বসিত নুনো বলেন, "আমার কাছে অনেকগুলো দেশে খেলার প্রস্তাব ছিল। ভারতেরও কয়েকটি ক্লাব আমায় চেয়েছিল। তার মধ্যে কলকাতার একটি ক্লাব ছিল। কিন্তু মোহনবাগান সুপার জায়ান্টে আমার যোগ দেওয়ার অন্যতম কারণ ক্লাবের ঐতিহ্য, পরম্পরা এবং ধারাবাহিক সাফল্য। এছাড়া ক্লাব ফুটবল ম্যানেজমেন্টের পেশাদারিত্ব আমাকে মুগ্ধ করেছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছি মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট সবসময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই দল গড়ে। ম্যাকলারেন-সহ বেশ কয়েকজন আমার পরিচিত ফুটবলার সবুজ-মেরুন জার্সি পরে খেলছেন। তাঁরাও ক্লাব ম্যানেজমেন্টের মনোভাব এবং ভাবনার কথা আমাকে জানিয়েছেন। তাঁদের থেকে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের আবেগের কথাও শুনেছি। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। খুব তাড়াতাড়ি ভারতে আসছি। সবুজ-মেরুন জার্সিতে দেখা হবে।"