ETV Bharat / state

বিরোধী কেউ নয় দলের আরও লোক স্বামীকে খুনের ঘটনায় জড়িত, বিস্ফোরক নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী - TRINAMOOL LEADER MURDER CASE

শুক্রবার এই ঘটনায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে আদালতে পেশ করে পুলিশ ৷ তাঁদের ফের পাঁচদিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷

TRINAMOOL LEADER MURDER CASE
বিরোধী কেউ নয় দলের আরও লোক স্বামীকে খুনের ঘটনায় জড়িত, বিস্ফোরক নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 10, 2025, 8:51 PM IST

মালদা, 10 জানুয়ারি: তৃণমূলের মালদা জেলা সহ-সভাপতি দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে ফের পাঁচদিনের হেফাজতে নিল পুলিশ ৷ তিনদিনের পুলিশি হেফাজত থেকে শুক্রবার ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ পুলিশের আবেদন মেনে মুখ্য দায়রা বিচারক দু’জনকে আরও পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন ৷

তবে এদিন আদালতে যাওয়া বা ফেরার পথে কোনও মন্তব্য করতে চাননি নরেন্দ্রনাথ বা স্বপন ৷ আগামী 14 জানুয়ারি তাঁদের ফের আদালতে পেশ করা হবে ৷ এদিকে এদিনও নিহত দুলাল সরকারের আইনজীবী স্ত্রী পরোক্ষে দাবি করেছেন, আরও কেউ কেউ এই ঘটনার চক্রী ৷ তারা বিরোধী দলের কেউ নয়, তৃণমূলেরই ৷

শুক্রবার এই মামলার শুনানি শোনার জন্য মালদা জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারকের কোর্টে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকে ৷ আদালতে উপস্থিত ছিলেন নিহত দুলালবাবুর স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকারও ৷ তিনিও মালদা জেলা আদালতের একজন আইনজীবী ৷ আদালত চত্বর থেকে বেরোনোর সময় তিনি শুধু বলেন, “ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ৷ কী ধরনের ইলেকট্রনিক মিডিয়া পুলিশের হাতে রয়েছে, তা তারাই বলতে পারবে ৷”

এই মামলার সরকারি সহকারী আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “প্রথম দফায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি আর স্বপন শর্মাকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ এখনও তাদের জেরাপর্ব চলছে ৷ প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় পাওয়া যাচ্ছে ৷ এই মামলায় ধৃত অমিত রজকের একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সেটাই এখন ইলেকট্রনিক এভিডেন্স হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ নরেন্দ্রনাথ ও স্বপনকে আরও পাঁচদিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আজ আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন ৷”

দেবজ্যোতি পাল আরও বলেন, “অমিত রজকের মোবাইল ফোনে থাকা কথোপকথন খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ খোদ পুলিশ সুপার এই মামলার তদন্ত মনিটরিং করছেন ৷ তবে যখন কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়, তখন সে নিজেকে বাঁচাতে আরও অনেক নাম বলতে পারে ৷ কিন্তু শুধু নাম বললেই চলবে না ৷ নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ না থাকলে পুলিশ কোনও নামকেই গ্রেফতার করবে না ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এক্ষেত্রেও ধৃত দু’জন কিছু নাম বলেছে৷ সেই নামগুলি ধরে ধরে তদন্তের জন্যই তাদের দ্বিতীয় দফায় পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷ একসময় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মার মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক খুব ভালো ছিল বলে শোনা গিয়েছে ৷ এর বাইরে আমার পক্ষে আর কিছু বলা সম্ভব নয় ৷”

এদিন আদালতে যাওয়ার আগে চৈতালি ঘোষ সরকার বলেন, “একটি সংবাদমাধ্যম নিজেদের মতো মোটিভের খবর ছড়িয়ে দুলালবাবুকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে ৷ তবে আমি দলনেত্রী এবং পুলিশের উপর ভরসা রেখেছি ৷ আমি মনে করি, পুলিশ আসল তথ্য সামনে নিয়ে আসবে ৷ তবে আমার মনে হয় না, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাই এই ঘটনার মূল চক্রী ৷ আমার ধারণা, এর পিছনে আরও লোক রয়েছে ৷ তারা আমাদের দলেরও হতে পারে ৷’’

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী দলের কারও ওকে খুন করার প্রয়োজন ছিল না ৷ বিরোধীরাও দুলালবাবুকে ভালবাসত ৷ ও বিরোধীদের কাজও করে দিত ৷ তাই ও মারা যাওয়ার পর বিরোধীরাও চোখের জল ফেলেছে ৷ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ৷ এই ঘটনায় আর কে কে আছে, সেটা পুলিশ বের করবে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘দুলালবাবুর নিরপত্তারক্ষী প্রত্যাহার নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যা বলেছেন সেটা তাঁর বিষয় ৷ আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর নজরে সব রয়েছে ৷ তবে দুলাল সরকারকে যে রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত ৷”

মালদা, 10 জানুয়ারি: তৃণমূলের মালদা জেলা সহ-সভাপতি দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে ফের পাঁচদিনের হেফাজতে নিল পুলিশ ৷ তিনদিনের পুলিশি হেফাজত থেকে শুক্রবার ধৃতদের মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ পুলিশের আবেদন মেনে মুখ্য দায়রা বিচারক দু’জনকে আরও পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন ৷

তবে এদিন আদালতে যাওয়া বা ফেরার পথে কোনও মন্তব্য করতে চাননি নরেন্দ্রনাথ বা স্বপন ৷ আগামী 14 জানুয়ারি তাঁদের ফের আদালতে পেশ করা হবে ৷ এদিকে এদিনও নিহত দুলাল সরকারের আইনজীবী স্ত্রী পরোক্ষে দাবি করেছেন, আরও কেউ কেউ এই ঘটনার চক্রী ৷ তারা বিরোধী দলের কেউ নয়, তৃণমূলেরই ৷

শুক্রবার এই মামলার শুনানি শোনার জন্য মালদা জেলা আদালতের মুখ্য দায়রা বিচারকের কোর্টে ভিড় জমিয়েছিলেন অনেকে ৷ আদালতে উপস্থিত ছিলেন নিহত দুলালবাবুর স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকারও ৷ তিনিও মালদা জেলা আদালতের একজন আইনজীবী ৷ আদালত চত্বর থেকে বেরোনোর সময় তিনি শুধু বলেন, “ঘটনা নিয়ে পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ৷ কী ধরনের ইলেকট্রনিক মিডিয়া পুলিশের হাতে রয়েছে, তা তারাই বলতে পারবে ৷”

এই মামলার সরকারি সহকারী আইনজীবী দেবজ্যোতি পাল সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “প্রথম দফায় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি আর স্বপন শর্মাকে তিনদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ এখনও তাদের জেরাপর্ব চলছে ৷ প্রতিদিন নতুন নতুন বিষয় পাওয়া যাচ্ছে ৷ এই মামলায় ধৃত অমিত রজকের একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে ৷ সেটাই এখন ইলেকট্রনিক এভিডেন্স হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ৷ নরেন্দ্রনাথ ও স্বপনকে আরও পাঁচদিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে আজ আদালতে পেশ করা হয় ৷ বিচারক সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন ৷”

দেবজ্যোতি পাল আরও বলেন, “অমিত রজকের মোবাইল ফোনে থাকা কথোপকথন খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ খোদ পুলিশ সুপার এই মামলার তদন্ত মনিটরিং করছেন ৷ তবে যখন কোনও মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়, তখন সে নিজেকে বাঁচাতে আরও অনেক নাম বলতে পারে ৷ কিন্তু শুধু নাম বললেই চলবে না ৷ নির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ না থাকলে পুলিশ কোনও নামকেই গ্রেফতার করবে না ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এক্ষেত্রেও ধৃত দু’জন কিছু নাম বলেছে৷ সেই নামগুলি ধরে ধরে তদন্তের জন্যই তাদের দ্বিতীয় দফায় পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷ একসময় ধৃত নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মার মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক খুব ভালো ছিল বলে শোনা গিয়েছে ৷ এর বাইরে আমার পক্ষে আর কিছু বলা সম্ভব নয় ৷”

এদিন আদালতে যাওয়ার আগে চৈতালি ঘোষ সরকার বলেন, “একটি সংবাদমাধ্যম নিজেদের মতো মোটিভের খবর ছড়িয়ে দুলালবাবুকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে ৷ তবে আমি দলনেত্রী এবং পুলিশের উপর ভরসা রেখেছি ৷ আমি মনে করি, পুলিশ আসল তথ্য সামনে নিয়ে আসবে ৷ তবে আমার মনে হয় না, নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং স্বপন শর্মাই এই ঘটনার মূল চক্রী ৷ আমার ধারণা, এর পিছনে আরও লোক রয়েছে ৷ তারা আমাদের দলেরও হতে পারে ৷’’

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘‘বিরোধী দলের কারও ওকে খুন করার প্রয়োজন ছিল না ৷ বিরোধীরাও দুলালবাবুকে ভালবাসত ৷ ও বিরোধীদের কাজও করে দিত ৷ তাই ও মারা যাওয়ার পর বিরোধীরাও চোখের জল ফেলেছে ৷ তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে ৷ এই ঘটনায় আর কে কে আছে, সেটা পুলিশ বের করবে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘দুলালবাবুর নিরপত্তারক্ষী প্রত্যাহার নিয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা যা বলেছেন সেটা তাঁর বিষয় ৷ আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রীর নজরে সব রয়েছে ৷ তবে দুলাল সরকারকে যে রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.