কলকাতা, 10 জানুয়ারি: চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বৃহস্পতিবারই ৷ পায়ে ক্রেপ ব্য়ান্ডেজ বেঁধে আনোয়ার আলি এসেছিলেন বটে ৷ কিন্তু টিম হাডল সেরে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ৷ শুক্রবার অনুশীলনেই এলেন না দলের গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার ৷ ফলত শনিবার প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে ডার্বি দ্বৈরথে নেই আনোয়ার ৷ না-পাওয়ার তালিকায় মহম্মদ রাকিপ এবং প্রভাত লাকরাও। সবমিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে গুয়াহাটিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে সামলাতে নামছেন অস্কার ব্রুজোঁর দল।
গুয়াহাটিতে দুই দলের সাক্ষাতের পরিসংখ্যান 1-1। আইএসএলের মঞ্চে প্রথমবার ডার্বি খেলতে ব্রহ্মপুত্রের কোলে কলকাতার দুই প্রধান। এখনও পর্যন্ত আইএসএল ডার্বিতে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট অপরাজিত। এবারেও লাল-হলুদের হয়ে বাজি ধরার লোকের সংখ্যা সামান্যই। অস্কার ব্রুজোঁ সব শুনছেন এবং নীল নকশা সাজাচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন হয়তো অস্কার জীবনের কঠিনতম লড়াইয়ে নামতে চলেছেন। যদিও লাল-হলুদ হেডস্যর বলছেন, "আমার কোচিং জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এসেছে। শনিবারের ম্যাচটা তার মধ্যে অবশ্যই অন্যতম। তবে কঠিনতম নয়। এটা ঠিকই যে, মোহনবাগান অনেক ভাল ফর্মে থাকা দল। হয়তো এই ম্যাচে তাদের সফল হওয়ার সুযোগই বেশি। তবে ওদের থামানোর জন্য যা যা করা দরকার সবই করব আমরা ৷"
শেষ দু'দিন ক্লোজ-ডোর অনুশীলন করিয়েছেন দলকে। সম্ভবত পাঁচ ডিফেন্সের ছকে ডার্বি জিততে চান স্প্যানিয়ার্ড। আসলে সবুজ-মেরুন আক্রমণ সামলাতে রক্ষণ শক্ত করে প্রতি-আক্রমণের ভাবনা। দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোসকে সামনে রেখে বাজিমাতের লক্ষ্যে অস্কার বলছেন, "ভাল পরিকল্পনা ও কৌশল সাজিয়েছি আমরা। আবেগ ঝেড়ে ফেলে আমাদের ফুটবলে মনোনিবেশ করতে হবে। আত্মবিশ্বাস ও নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া এখানে বেশি জরুরি। সবচেয়ে জরুরি ছোটখাটো ভুল না করা ৷"
তাঁর আমলে দল চাপে পড়লে ভালো খেলছে। শেষ দু'ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট খোয়ানোয় অবশ্যই চাপের পরিস্থিতি। এ প্রসঙ্গে লাল-হলুদ কোচের উত্তর, "চাপ থাকাটা আমাদের পক্ষে ভাল। এই চাপটাই আমরা উপভোগ করি এবং শনিবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।" এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সল ক্রেসপোকে নাকি প্রয়োজনে তৈরি রাখছেন অস্কার। এমনকী ডার্বির চব্বিশ ঘণ্টা আগে দলে যোগ দেওয়া নয়া বিদেশি রিচার্ড সেলিসও ডাগ-আউটে থাকবেন। সবমিলিয়ে উত্তর-পূর্বে উত্তরের খোঁজে ইস্টবেঙ্গল।