জামশেদপুর, 23 অগস্ট: গোলের মেলায় ‘নায়ক’ গোলরক্ষক, বিশাল কাইথের হাত ধরে ডুরান্ডের শেষ চারে মোহনবাগান ৷ ইস্পাত নগরীতে মোহনবাগানে হাতে ছিল ডুরান্ড কাপে বাংলার প্রতিনিধিত্ব টিকিয়ে রাখার ভার ৷ সেই লক্ষ্যে আপাত সফল মোহনবাগান ৷ টাইব্রেকারে জিতে সেমি-ফাইনালে চলে গেলেন দিমি পেত্রাতোসরা ৷ স্পটকিক মিস করেন অজি বিশ্বকাপার জেসন কামিংস ৷ যদিও বিশাল কাইথের বিশ্বস্ত হাতে ম্যাচ জিতে নেয় গঙ্গাপাড়ের ক্লাব ৷
গোল, পালটা গোল ৷ নব্বই মিনিটে হাফ ডজন গোল ৷ স্কোরবোর্ড বদল হল টেনিসের স্কোরের আদলে ৷ কোনও সন্দেহ নেই আক্রমণ, প্রতিআক্রমণ, গোল, পালটা গোলে ইস্পাত নগরীতে চলতি ডুরান্ড কাপের সেরা ম্যাচটা অনুষ্ঠিত হল ৷ মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট বনাম পঞ্জাব এফসি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হল টাইব্রেকারে । দু’দলের প্রথম পাঁচটি শটে ফলাফল 4-4 ৷ সাডেন ডেথে বিশাল কাইথের বাজিমাত ৷
ইস্টবেঙ্গলের পর মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের ডুরান্ড থেকে বিদায় নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলেও তা বাঁচল বিশাল কাইথের টাইব্রেকারে দুরন্ত গোলরক্ষায় । বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল টাইব্রেকারের শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল বাগান ৷ কামিংসের শট পোস্টে লেগে ফেরে ৷
প্রথমার্ধে ম্যাচ 1-1 শেষ হয়েছিল ৷ দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান ৷ বিরতির পরে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা মনবীর সিংয়ের গোলে এগিয়ে যায় সবুজ মেরুন ৷ এইসময় মনে হয়েছিল হোসে মোলিনার ছেলেদের নির্ধারিত সময়ে জয় তুলে নেওয়া সময়ের অপেক্ষা ৷ যদিও 63 মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেয় পঞ্জাব ৷ গোল করেন ফিলিপ মার্জলজাক ৷ 71 মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন নোবার্তো ভিদাল ৷ 80 মিনিট পর্যন্ত 3-2 গোলে পিছিয়ে থাকলেও ক্রমাগত বিপক্ষের বক্সে হানা দিচ্ছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, জেসন কামিংসরা ৷ শেষ পর্যন্ত 80 মিনিটে দুরন্ত শটে সমতা ফেরান কামিংস ৷ নির্ধারিত 90 মিনিটে স্কোর 3-3 থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে ৷