কলকাতা, 19 জানুয়ারি:নির্বাচন আয়োজন ইস্যুতে ধুন্ধুমার যে লনে, সেই লনেই কয়েকঘণ্টা পর বাংলা দলকে সংবর্ধনা জানাল মোহনবাগান ৷ ভবানীপুর ক্লাব, ডায়মন্ডহারবার এফসি, ইস্টবেঙ্গলের পর সঞ্জয় সেন ও তাঁর ছেলেদের ভারতসেরা হওয়ার সম্মান দিল গোষ্ঠ পাল সরণির ক্লাব ৷ 2014-15 বাগানের কোচ হিসেবে আই লিগ জয়ের পর সংবর্ধিত হয়েছিলেন ৷ শনিবার বাংলাকে ভারতসেরা করে ফের মোহনবাগানের তরফে সম্মানিত সঞ্জয় সেন ৷ চেনা পরিবেশে ফিরে সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলা দলের কোচ আবেগতাড়িত।
আই লিগ জয়ের পরে সংবর্ধনা এবং সন্তোষ ট্রফি জয়ের পরে প্রিয় ক্লাবে একই জায়গায় সংবর্ধনা ৷ কোথাও কি একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ হল? প্রশ্নের উত্তরে স্মিত হেসে অভিজ্ঞ কোচের জবাব, "পরে আরও বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে।" শনিবার মোহনবাগানের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হল কোচ-সহ চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলের সকল ফুটবলারদের। জয়ী দলকে ক্লাবের তরফে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে সংবর্ধনা মঞ্চ বলে গুটিয়ে থাকা নয় ৷ ইস্টবেঙ্গলে গিয়ে যে কথা বলেছিলেন, তার থেকেও বিস্ফোরক কথা শনিবার মোহনবাগানে তাঁবুতে এসে বললেন মিঃ সেন।
তাঁর কথায়, "আইএসএলে চেন্নাইয়িন এফসি, জামশেদপুর এফসি'তে কয়েকজন বাঙালি ফুটবলার রয়েছে ৷ কিন্তু কেন ইস্টবেঙ্গল বা মোহনবাগানে তার চেয়ে বেশি থাকবে না? দুই প্রধান কবে আর বুকের পাটা দেখাবে? বাংলার ফুটবলারদের সুযোগ দিলে ওরা কী করতে পারে সেটা সবাই জানে।" সঞ্জয় সেনকে এদিন সংবর্ধনা দেন সন্তোষ ট্রফি জয়ী দুই প্রাক্তন কোচ সাব্বির আলি এবং মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন তিন মোহনবাগান রত্ন সৈয়দ নঈমুদ্দিন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রদীপ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, "বাংলার হয়ে খেলা মানে মাধ্যমিক পাস করা। এবার আইএসএলের মঞ্চে খেলতে হবে।" ক্রীড়ামন্ত্রী অখুশি কলকাতা লিগের প্রিমিয়র ডিভিশনে মোহনবাগানের ভাল ফল না-করা নিয়েও। তাঁর কথায়, "ভারতের সাপ্লাই লাইন তৈরি করতে হবে। কেন লিগের প্রথম পাঁচে মোহনবাগান থাকবে না? মোহনবাগানের কাজ শুধু ট্রফি জেতা নয়, ফুটবলার তৈরি করাও।" প্রত্যুত্তরে ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, "আইএফএ যেদিন থেকে লিগে 11 জন বাঙালি ফুটবলার খেলানোর নিয়ম বাধ্যতামূলক করবে, সেই দিন থেকে আমরা লিগ গুরুত্ব দিয়ে খেলব।"