কলকাতা, 27 ফেব্রুয়ারি: ফিরতি ডার্বি বনাম তৃণমূলের জনগর্জন সভা ঘিরে কলকাতা সরগরম হতে চলেছে আগামী 10 মার্চ ৷ তবে শাসকদলের ব্রিগেড সমাবেশের দিন বিকেলে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে বড় ম্যাচ কি আদৌ আয়োজন হবে, তা নিয়েই দানা বেঁধেছে প্রশ্নচিহ্ন ৷ প্রশ্নটা অবশ্যই পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিয়ে। আর নিরাপত্তার কারণে আইএসএলের ফিরতি বড় ম্যাচ পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে আশঙ্কা ফুটবলপ্রেমীদের একাংশের। পাশাপাশি কলকাতা ডার্বি ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলেও জল্পনা নানামহলে। তবে মঙ্গলবার বিষয়টি নিয়ে সদস্য সমর্থকদের আশ্বস্ত করলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ৷
দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, 10 মার্চ ডার্বি আয়োজনের ব্যাপারে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁদের আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট দিনে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে ক্রীড়ামন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন বলে দাবি লাল-হলুদ শীর্ষকর্তার। ফিরতি ডার্বির আয়োজক যেহেতু ইস্টবেঙ্গল, তাই শাসকদলের ব্রিগেড থাকলেও ক্রীড়ামন্ত্রীর আশ্বাসের পরে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে জোরালোভাবে আশাবাদী তারা। জানা গিয়েছে, বুধবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে সরকারিভাবে ডার্বি আয়োজনের আবেদন করা হবে।
চলতি মরশুমে সম্ভবত শেষ কলকাতা ডার্বি এটাই। চলতি মরশুমে দ্বৈরথের পরিসংখ্যানে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে ৷ ফলে সেই পরিসংখ্যান উন্নত করতে চাইবে লাল-হলুদ। ফলত বড় ম্যাচের সাক্ষী থাকতে যুবভারতী যে ভরবে না তা হতেই পারে না। তৃণমূল সমর্থকরাও হয়তো ব্রিগেড দেখার পর ডার্বি ম্যাচ দেখতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনমুখী হবেন। সকাল 11টায় শুরু হবে ব্রিগেড সমাবেশ। আর অন্যদিকে সন্ধ্যা সাড়ে 7টায় হবে ডার্বি। আর সেটাই আশা জাগাচ্ছে লাল-হলুদ কর্তাদের। কীভাবে এই ডার্বি আয়জন করা হবে তা নিয়ে মঙ্গলবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা এবং লগ্নিকারী কর্তারা প্রাথমিকভাবে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে। ছিলেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। সেই বৈঠকের পরেই আশ্বাস মিলেছে।
গত রবিবারই রাজ্যের শাসকদলের তরফে 10 মার্চ জনগর্জন সভার ঘোষণা করা হয়। চলতি আইএসএলে প্রথম বড় ম্যাচ অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। চলতি মরশুমে সবকটি ডার্বি-ই উত্তেজক হয়ে ধরা দিয়েছে । ফলে এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পারদ যে চড়বে, তা বলাই যায়। ফলত একইদিনে দু'টো মেগা ইভেন্টে নিরাপত্তার ব্যবস্থাপনা পুলিশ কীভাবে করবে, সেটাও দেখার। বিধাননগর কমিশনারেটও নাকি ডার্বি আয়োজনের ব্যাপারে প্রাথমিক সম্মতি জানিয়েছে। তাই বুধবার ডার্বি আয়োজনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সম্মতি মিললে তবেই টিকিট ছাড়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হবে। শোনা যাচ্ছে আগামী 7 মার্চ থেকে বড় ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৷
আরও পড়ুন:
- নন্দর গোলে প্রথমবার চেন্নাইয়িন বধ, শেষ ছয়ের আশা বেঁচে রইল ইস্টবেঙ্গলের
- ভারতীয় ফুটবলে রেফারিং নিয়ে ফের বিস্ফোরক কুয়াদ্রাত