কলকাতা, 10 জানুয়ারি: সমর্থকদের আবেগ বোঝেন তিনি ৷ আর সমর্থকদের আবেগ পূরণ করতে শনিবারের ডার্বিতে জয় চান হোসে মোলিনা ৷ কিন্তু নিজে কোনওভাবেই আবেগের শরণাপন্ন হবেন না ৷ বরং রুক্ষ পেশাদারিত্ব দিয়েই ব্লু-প্রিন্ট সাজিয়ে ডার্বির বৈতরণী সসম্মানে পেরোতে চাইছেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ ৷
শনিবার গুয়াহাটিতে চলতি আইএসএলের ফিরতি বড় ম্যাচ। প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল মানেই চারদিকের অদৃশ্য চাপের চক্রব্যূহ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে পিছনে ফেলার আনন্দ সমর্থকরা উপভোগ করতে চান। আবহে থেকে শতবর্ষ প্রাচীন এই সংক্রমণ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন। সবুজ-মেরুন কোচ বিষয়টি নিয়ে সচেতন। তবে প্রাক-ম্য়াচ সাংবাদিক সম্মেলনে আবেগতাড়িত না-হয়ে রুক্ষ পেশাদারিত্বে ডার্বির চ্যালেঞ্জ সামলানোর কথা মোলিনার মুখে। নিরাপত্তাজনিত কারণে ডার্বি কলকাতাছাড়া হয়েছে। আয়োজকরা এত দেরিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যে ডার্বি আয়োজনের অনুমতি পেয়েছেন যে দু'দলের সমর্থকরা মাঠে উপস্থিত থেকে ফুটবল দ্বৈরথের আনন্দ কতটা নিতে পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
মোলিনার বক্তব্য (ETV Bharat)
স্বাভাবিকের তুলনায় দর্শকদের কম উপস্থিতি দলের মানসিক অনুপ্রেরণায় ব্যাঘাত ঘটাবে, তা হোসে মোলিনা স্বীকার করছেন। তবে 'যস্মিন দেশে যদাচার' নীতি নিয়ে ডার্বিতে তিন পয়েন্ট চাঁদমারি করতে চান বাগান কোচ। আর তার জন্য পেশাদারিত্বই অস্ত্র স্প্যানিয়ার্ডের। পয়েন্ট টেবিলে এক নম্বরে মোহনবাগান। এগারো নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। এক বনাম এগারোর লড়াইয়ে সবুজ-মেরুনের এগিয়ে থাকার কথা। কিন্তু সেসবে পাত্তা দিতে রাজি নন মোলিনা। ইস্টবেঙ্গলকে সমীহ করছেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের কোচ। তিনি কোনও সন্দেহ না-রেখেই জানাচ্ছেন ম্যাচ কঠিন হতে চলেছে।
তবে যে কোনও মূল্যে জয়ই পাখির চোখ মোলিনার। ডার্বির আগে অনিরুদ্ধ থাপার চোট সবুজ-মেরুন শিবিরে বড় ধাক্কা। মোলিনা বলছেন, "চোট-আঘাত যে কোনও দলের পাথেয়। তবে দলে একাধিক ভালো ফুটবলার রয়েছেন। যারা নিজেদের মেলে ধরতে তৈরি।" চোট সারিয়ে বাগান অনুশীলনে সাবলীল গ্রেগ স্টুয়ার্ট, দিমিত্রি পেত্রাতোস। তবে তাঁদের প্রথম দলে রাখা হবে কি না, সেই প্রশ্নে রহস্য বজায় রাখলেন মোলিনা। পাশাপাশি অনুশীলনে ইঙ্গিত জেমি ম্যাকলারেন এবং জেসন কামিংসেই আস্থা রাখতে চলেছেন সবুজ-মেরুন হেডস্যর। পরিস্থিতি অনুযায়ী দুই বিদেশিকে পরিবর্ত হিসেবে ব্যবহার করতে চান মোলিনা।