কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি:আশা জাগিয়ে শুরু করলেও প্রথম দিনের শেষে প্রতিপক্ষের রানের পাহাড়ের তলায় চাপা পড়ার আশঙ্কায় বাংলা শিবির । ইডেনে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের প্রথম দিনের শেষে মুম্বই 6 উইকেট হারিয়ে 330 রান তুলেছে। পিচে অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান তনুষ কৈতান (55) এবং আথর্ব আঙ্কলকর (41)। খারাপ আলোর জন্য আধঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা মুম্বই বাংলার বোলারদের পিটিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকে। অধিনায়ক অজিঙ্কে রাহানে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে শেষ মুহূর্তে নিজেকে সরিয়ে নেন। নেতৃত্বের ব্যাটন ওঠে শিবম দুবে। স্যাঁতস্যাতে মেঘলা আবহাওয়া অজিঙ্কে রাহানের অনুপস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাংলার বোলাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রক হবেন এটাই ছিল প্রত্যাশিত। কিন্তু বোলিং ব্যর্থতা বাংলাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিল। বোলিং ব্যর্থতার অন্যতম খলনায়ক ঈশান পোড়েল ৷
বড়লোক বাড়ির বাউণ্ডুলে ছেলের মত অকাতরে রান বিলোলেন তিনি। দিনের শেষে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যাণ 17-3-74-1৷ অসমের বিরুদ্ধে ছিলেন না তিনি । ফিরে এসে দাগ কাটতে ব্যর্থ। ফিল্ডিংয়ে মিড অনে দাঁড়িয়ে সূর্যাবংশ শেদগের ক্যাচ ফেললেন। বোলিং ফিল্ডিংয়ের হতশ্রী তার পারফরম্যান্স ৷ অন্তত প্রথম দিন তো বটেই। প্রথম ঘণ্টায় বাংলার বোলাররা দাগ ফেলতে পারলেন না।
মহম্মদ কাইফেরও একই পরিস্থিতি। ফলে মুম্বই ব্যাটারদের উপর চাপ তৈরি হয়নি ৷ বাংলার বোলিংয়ে একমাত্র আশার আলো সূরজ সিং জয়সওয়াল। সারা দিনের 75 ওভারের মধ্যে 26 ওভার হাত ঘোরালেন । তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শিকার তাঁর ঝুলিতে। হাঁটুর চোট সারিয়ে ফিরলেন পৃথ্বী শ । বাংলার বোলারদের সামলে শুরুটা ভালো করেছিলেন ৷ কিন্তু 42 বলে 35 রানের বেশি করতে পারলেন না। সুরজের দিনের সেরা বলে আউট হন পৃথ্বী। দীর্ঘদিন পরে বাইশ গজে ফিরে ভালো লাগছে বলে জানান পৃথ্বী শ ৷
একটা সময় মুম্বই ব্যাটারদের বেকায়দায় ফেলে 87 রানে চার উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলা। কিন্তু সেই ঝটকা বড় হতে না পারার কারণ কাইফ ঈশান পোড়েল জয়সওয়ালরা। দলের বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ব্যাট হাতে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন অধিনায়ক শিবম দুবে (72), শেদগে (71)। এই জুটি 144 রান তুলে দলের উপর বসতে থাকা ফাঁস আলগা করেন। চা বিরতির আগে দু’জনেই অল্প সময়ের ব্যবধানে ফিরে যান। এই সময় মনে হয়েছিল বাংলা বুঝি প্রতিপক্ষ কে 300-এর মধ্যে বেঁধে ফেলতে পারবে। কিন্তু চা-বিরতির পরে বাংলার বোলাররা ফের ফায়দা তুলতে ব্যর্থ। দিনের শেষে মুম্বই ছয় উইকেটে 330 রান ৷
ইডেন ছাড়ার সময় বাংলার কোচ মনোজ তিওয়ারি বলেন,"স্যাঁতস্যাতে উইকেটে বল ঠিক আসছিল না বলে অঙ্কিতকে নিয়ে এসেছিলাম। হিমাচল প্রদেশের বিরুদ্ধে শাহবাজ আহমেদ এই রকম পরিস্থিতিতে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছিল। সেই কৌশল কাজে এল না। দ্বিতীয় দিন দ্রুত বাকি চার উইকেট তোলার চেষ্টা করতে হবে। দেখা যাক তারপর কি করা যায়।" দারুণ শুরু করেও বাংলা ব্যাকফুটে। ঈশান কোণে আঁধার বললে বোধহয় ভুল হবে না।
আরও পড়ুন:
- যশস্বীময় ভাইজ্যাগ, থ্রি-লায়ন্সের বিরুদ্ধে বড় রানের লক্ষ্যে ভারত
- বিশাখাপত্তনমে যশস্বী-রাজ ! অ্যান্ডারসনদের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে উজ্জ্বল জয়সওয়াল
- 75 বছরে লজ্জার ইতিহাস! ভাইজ্যাক টেস্টের দলে রোহিতদের মোট রান এক ইংরেজ ব্যাটারের থেকে কম