কল্যাণী, 20 নভেম্বর: মূল পর্বে যাওয়ার জন্য দরকার ছিল এক পয়েন্ট । একই সঙ্গে জয়ের হ্যাটট্রিকের ভাবনাও ছিল । কিন্তু সবদিন তো আর সমান যায় না । বাংলার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায় । ঝাড়খণ্ড এবং উত্তরপ্রদেশকে গোলের বন্যায় ভাসিয়ে বিহারের বিরুদ্ধে ফের দাপুটে জয় ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল বাংলা । কিন্তু স্পটকিক থেকে গোল করার ব্যর্থতা এবং প্রতিপক্ষ রক্ষণের চক্রব্যুহে আটকে গেল সঞ্জয় সেনের ছেলেরা ।
গত দু’টো ম্যাচের পারফরম্যান্স এদিন বাংলা মেলে ধরতে ব্যর্থ । ড্র করলে পরের পর্বে যাওয়ার টিকিট নিশ্চিত ছিল ৷ তাই বাড়তি ঝুঁকি না-নেওয়ার মানসিকতা কাজ করে । যদিও কোচ সঞ্জয় সেন বলছেন, তিন ম্যাচ জয়ের ভাবনা থাকলেও তা সম্পূর্ণ না-হওয়ায় আক্ষেপ রয়েছে । তবে অপরাজিত হয়ে পরের পর্বে যাওয়ায় তিনি দলের ছেলেদের কৃতিত্ব দিচ্ছেন ।
সন্তোষের মূলপর্বে বাংলা (ইটিভি ভারত)
ড্র করে সন্তোষ ট্রফির মূলপর্বে বাংলা । 5 ডিসেম্বর থেকে হায়দরাবাদে সন্তোষ ট্রফির মূলপর্ব । কোন মাঠে খেলা, কাদের বিরুদ্ধে খেলা তার কোনও খবর আপাতত সঞ্জয় সেনের কাছে নেই । তবে কঠিন অঙ্ক কষতে হবে ধরে নিয়ে দ্রুত প্রস্তুতি শুরু করতে চান ।
এক বছর আগে বাংলা সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বে যেতে ব্যর্থ হয়েছিল । এই বছর যাতে সেই ব্যর্থতা ফিরে না-আসে সে ব্যাপারে সতর্ক ছিল দল । তবে ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশকে উড়িয়ে বিহারের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র অনেকেই মানতে পারছেন না । মূলপর্বে প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জ রবি, মনোতোষরা কতটা সামলাতে পারবেন তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান
বিহারের কোচ সঞ্জয় দে মূলত রক্ষণাত্মক ছকে বাংলাকে ব্যাকফুটে ফেলতে চেয়েছিলেন । তাঁর দল মাত্র সাতদিনের প্রস্তুতিতে কল্যাণীতে খেলতে এসেছিল । ডিফেন্ডার না-থাকায় স্ট্রাইকারকে ডিফেন্ডার হিসেবে খেলিয়ে বাংলাকে রুখলেন ইছাপুরের সঞ্জয় দে । এই মরশুমে দুই ম্যাচের জন্য পুলিশ এসি’র কোচ ছিলেন । কিন্তু দুই ম্যাচ পরেই অপসারিত । সেই অপমানের শোধ সন্তোষ ট্রফির মঞ্চে বিহারের ডাগ-আউটে বসে নিলেন ।