কলকাতা, 15 ফেব্রুয়ারি: 2004 সালে শুরু ৷ তার পর কেটে গিয়েছে 20 বছর ৷ মাঝে একবার অবসরের ঘোষণা করেও সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আবার মাঠে ফেরেন ৷ সেই মনোজ তিওয়ারি শুক্রবার ইডেনে খেলতে নামছেন বাংলার হয়ে তাঁর শেষ ম্যাচ ৷ স্বাভাবিকভাবেই আবেগতাড়িত বাংলার অধিনায়ক ৷ তবে শেষ ম্যাচ ইডেনে খেলার সুযোগ পাওয়ায় তিনি খুশি ৷ বললেন, ‘‘ইডেনেই শুরু করেছিলাম, ইডেনেই শেষ করতে পেরে ভালো লাগছে ৷’’
চলতি মরসুমে রণজি ট্রফিতে এটাই বাংলার শেষ ম্যাচ ৷ কারণ, নকআউট পর্বে যাওয়ার আর কোনও সুযোগ নেই । তাই বিহারের বিরুদ্ধে সেই নিয়মরক্ষার ম্যাচে সব আকর্ষণ তৈরি হয়েছে মনোজ তিওয়ারিকে ঘিরে ৷ কারণ, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণীয় চরিত্রের ব্যাট তুলে রাখার মুহূর্তের সাক্ষী থাকার সুযোগ কেউ হারাতে চাইছেন না । রবিবার বাংলা-বিহার ম্যাচের তৃতীয় দিনে সিএবি তাঁদের অধিনায়ককে সংবর্ধিত করবে । সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কী স্মারক-উপহার থাকছে, তা সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে না । চমকের জন্য আড়াল করা হচ্ছে ।
তবে সিএবি সূত্রে খবর, সোনার ব্যাট দেওয়া হবে মনোজ তিওয়ারিকে ৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন ৷ মনোজের মা ও স্ত্রী উপস্থিত থাকবেন ৷ যদিও বাংলার অধিনায়ক নিজে আগ বাড়িয়ে কাউকে আমন্ত্রণ জানাতে অরাজি । সতীর্থরাও মনোজকে উপহার তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন ।
ক্রিকেট জীবনের শেষ ম্যাচে নামার আগে মনোজ তিওয়ারি কি আবেগতাড়িত ? প্রশ্নটা শুনে হেসে ফেললেন বাংলার দলনেতা । তিনি বলছেন, “আমি তো আবেগপ্রবণ মানুষ । হয়তো শেষদিন আবেগতাড়িত হয়ে পড়ব ।’’ 2004 সালে ইডেনে রণজি ট্রফিতে দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম শুরু করেছিলেন । মাঝের কুড়ি বছরে দলের প্রয়োজন বারবার ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে । বাংলার হয়ে তাঁর অবদানের কথা জানাতে গিয়ে প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বললেন, “একটা দীর্ঘ বর্ণময় ক্রিকেট যাত্রাপথের সাক্ষী থাকব আমি । আমার সামনেই শুরু করেছিল । একটা উজ্জ্বল ক্রিকেট কেরিয়ার মনোজের । বাংলার ক্রিকেটের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে যাঁদের অবদান প্রথম সারিতে আসবে, তাঁদের মধ্যে মনোজ অন্যতম ৷”