ইউসুফকে মালা পরানো নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বড়ঞা, 18 এপ্রিল:দলীয় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে মালা পরানো নিয়ে মুর্শিদাবাদে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ৷ পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের মধ্যে ৷
বৃহস্পতিবার গোলাপ আর রজনীগন্ধার মালাতে দলীয় প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে অভ্যর্থনা জানাবেন বলে প্রস্তুত ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা । হুডখোলা গাড়িতে প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি । পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা অপেক্ষা করলেও তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর গাড়ি থামানো হয়নি বলে অভিযোগ । গোটা পরিকল্পনাই হয়েছে ব্লক সভাপতির ইন্ধনে, এমনটাই অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের । যদিও পরবর্তীতে পঞ্চায়েত প্রধান, তাঁর স্বামী ও অনুগামীরা প্রায় জোর করে গাড়িতে উঠে ইউসুফকে মালা পরান । তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এই ঘটনাকে 'অবাঞ্ছিত নাটক' বলে কটাক্ষ করেছেন ব্লক সভাপতি ।
বৃহস্পতিবার বড়ঞা বিধানসভার অন্তর্গত কুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমরাই গ্রাম থেকে ভোটের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ইউসুফ পাঠান । তৃণমূল প্রার্থীকে মালা পরাতে গেলে বড়ঞা উত্তর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জর্জের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জেসমিনা আহমেদ ও তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা আবু বাক্কার । পরবর্তীতে প্রধানের অনুগামীরা গাড়ি থামিয়ে প্রায় 'জোরপূর্বক' গাড়িতে উঠে প্রার্থীকে মালা পরান । যদিও পরবর্তীতে বিতর্ক সামলে স্বাভাবিক গতিতেই চলতে থাকে প্রচার ।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জেসমিনা আহমেদের অভিযোগ, "ব্লক সভাপতি গোলাম মোর্শেদ জর্জ, নিজে ইউসুফ পাঠানের গাড়ি দাঁড় করাতে চাননি ৷ ইচ্ছাকৃত ভাবে এটা করা হয়েছে । তবে আগামী দিনে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগ করা হবে ৷" অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে গোলাম মোর্শেদ জানান, " উনি তো মালা পরালেন, তবে বিতর্ক কীসের ? এ সব অবাঞ্ছিত নাটক কেন ?"
আরও পড়ুন:
- অধীরের গলায় বাম উত্তরীয়, সেলিমের মনোনয়নে জোটের বার্তা
- মমতার 'মাথা খারাপ' আর কুণাল 'নর্দমা', তোপ মহাগুরুর
- অধীরের গলায় বাম উত্তরীয়, সেলিমের মনোনয়নে জোটের বার্তা