কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি:ফের সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এই নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করে, আজই জরুরি শুনানির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ ।
বিচারপতির বক্তব্য, "যে কোনও লোকের যে কোনও জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে । এটা কোর্ট অস্বীকার করে না । কিন্তু এই যাওয়া জরুরি ভিত্তিতে দরকার ব্যাপারটা এমন নয় । আদালত মনে করে, নিয়ম অনুযায়ী 48 ঘণ্টার নোটিশ দিতে হয় । সোমবার কেন ? অন্যদিন যান ৷"
বিচারপতির আরও বক্তব্য, "অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিই সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন । আগামী সোমবারই আপনাকে যেতে হবে, এই বক্তব্যের কোনও গ্রহণযোগ্যতা আমি খুঁজে পাচ্ছি না । ওখানে তো আর মঞ্চ বাঁধা নেই যে, আপনাকে গিয়ে বক্তৃতা দিতে হবে । সোমবারই আপনার যাওয়াটা এত জরুরি নয় । অন্য যে কোনও দিন যেতে পারেন । মঙ্গলবার শুনানি হবে মামলার ।"
উল্লেখ্য, এর আগে দু'বার সন্দেশখালির যাওয়ার পথে আটকানো হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে । অবশেষে 19 ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কৌশিক চন্দ সন্দেশখালির সমস্ত এলাকা থেকে 144 ধারা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন পরবর্তী সাতদিনের জন্য । এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও আর এক বিধায়ক শংকর ঘোষকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেন ।
রাজ্য সরকার পরদিন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করলে প্রধান বিচারপতি সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশই বহাল রাখেন । একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন যে, সন্দেশখালির বেতাজ বাজশা শাহজাহান শেখকে পুলিশ কেন ধরতে পারছে না ! তার জন্য এলাকায় 144 ধারা জারি রেখে সাধারণ জনজীবন স্তব্ধ করে লাভ কী ? যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এলাকার মানুষের জমিজমা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ, নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁকে না ধরে এলাকায় 144 ধারা জারি করে রাখার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল হাইকোর্ট । একইসঙ্গে শাহজাহান শেখকে হাইকোর্টে তলব করা হতে পারে বলেও উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি ।
আরও পড়ুন:
- ক্যাম্প বসাচ্ছি, অভিযোগ জানান; নিজের হাতে আইন তুলে নিলে অসুবিধা আছে: সন্দেশখালিতে ডিজি
- গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্দেশখালি নিয়ে কী অভিযোগ ছিল, রাজ্যের কাছে দেখতে চাইলেন প্রধান বিচারপতি
- অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি, শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি ভাঙচুর; গ্রামবাসীদের শান্ত করতে ময়দানে এডিজি সাউথ