কলকাতা, 21 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ তাঁর দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওষুধ দুর্নীতি সম্পর্কে জেনে গিয়েছিলেন নিহত চিকিৎসক ৷ সেই কারণেই তাঁকে এভাবে মরতে হয়েছে বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু ৷
আরজি করের ওষুধ দুর্নীতি জেনে যাওয়াতেই খুন ‘অভয়া’কে, দাবি শুভেন্দুর (ইটিভি ভারত) আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার থেকে পাঁচদিনের ধরনা কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি ৷ কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে এই ধরনা কর্মসূচি শুরু করেছে তারা ৷ শ্যামবাজারে কর্মসূচির প্রথমদিন হাজির হয়েই এই কথা বলেন বিরোধী দলনেতা ৷
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ওই বোনটি ওষুধ পাচার সম্পর্কে জেনে গিয়েছিল ৷ সন্দীপ ঘোষের কুকর্ম জেনে গিয়েছিল ৷ সন্দীপ ঘোষের কুকর্ম জেনে গিয়েছিল ৷ ড্রাগ ব়্যাকেট জেনে ফেলেছিল৷ তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্য়েই এই পরিকল্পনা ৷’’ এই বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয় বলে জানানো বলেও শুভেন্দু জানিয়েছেন ৷
বিজেপির ধরনা মঞ্চে সুকান্ত মজুমদার-দিলীপ ঘোষ সহ অন্যরা (নিজস্ব ছবি) বিরোধী দলনেতার আরও দাবি, এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত৷ প্রত্যেকের ফাঁসির দাবি করেছেন তিনি ৷ পাশাপাশি একাধিক চিকিৎসকের নাম উল্লেখ করেছেন ৷ দাবি করেছেন, এই চিকিৎসকেরাও ‘অভয়া’র মর্মান্তিক পরিণতির জন্য দায়ী ৷ ওই ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী ৷
তিনি বলেন, "সোমবারের মধ্যে পদত্যাগ করুন ৷ না হলে মঙ্গলবার গুলি চললে তার দায় আপনাকে নিতে হবে । রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পুলিশ মন্ত্রী ব্যর্থ হয়েছেন ।" উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ছাত্রদের ডাকে নবান্ন অভিযান রয়েছে ৷ সেই অভিযানে পতাকা ছাড়া বিজেপির নেতারাও থাকবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে ৷ সেই কারণেই সম্ভবত মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে মমতাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু ৷
বিজেপির ধরনা মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী৷ (নিজস্ব ছবি) বিরোধী দলনেতার দাবি, চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চিকিৎসক এসপি দাস । আর এইসব প্রমাণ এবং তথ্য লোপাট করার জন্যই এই সিট গঠন করা হয়েছে । না হলে সিটে অর্থ বিভাগের লোকজন কেন থাকবেন ? একই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, একাধিক চিকিৎসক ‘অভয়া’র দেহ উদ্ধারের পর কেন গিয়েছিলেন আরজি করে ?
উল্লেখ্য, এ দিনের ধরনা কর্মসূচিতে শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা ও দিলীপ ঘোষ । এছাড়াও ছিলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল-সহ আরও অনেকেই ।