কলকাতা, 17 মার্চ: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তাঁকে প্রার্থী করেছিল দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিপক্ষ হয়ে নজর কেড়েছিলেন তিনি। যদিও মাত্র 6 হাজার 267টি ভোট পেয়েছিলেন। যা শতাংশের নিরিখে 2.74। তারপর উত্তরোত্তর তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে ৷ বিশেষ করে বাম যুব প্রজন্মের কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ব্যাপক। ঠিক একারণেই প্রার্থী হওয়াতে বাঁধ সাধল। সেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হচ্ছে না দল। অন্যদিকে, আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট নিয়ে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে দায়িত্ব দিয়েছে বামেরা ৷
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রের খবর, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে একটা লোকসভা আসনে সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ মহম্মদ সেলিমরা। রাজ্যের 42টি আসনেই বাম ও সহযোগীদের হয়ে প্রচারের কাজে মীনাক্ষীকে চাইছে মুজাফফর আহমেদ ভবন। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে নারীদের অবস্থান থেকে রুটি-রুজির অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন মীনাক্ষী। কিন্তু, রাজনীতি বিশ্লেষকদের অনেকেই আবার সিপিএমের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। শুধু কি প্রচারের স্বার্থে মীনাক্ষীকে প্রার্থী করা হচ্ছে না, নাকি আবারও ভোটে হেরে গেলে তাঁর জনপ্রিয়তায় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বামেদের !
ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে দলের স্বার্থে গোটা রাজ্যে প্রচারের কাজে লাগাবে সিপিএম তা কিন্তু এক প্রকার পরিষ্কার। গত 9 মার্চ থেকে 11 মার্চ রাজ্যে যে 11টি জনসভা করেছে বামেরা, তার বেশ কয়েকটিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। কৃষ্ণনগর, কোচবিহার, বসিরহাটের মতো লোকসভা আসনগুলিতেও ইতিমধ্যেই সভা করেছেন তিনি ৷ সন্দেশখালি নির্যাতিত মহিলাদের কাছে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে তিনিই পৌঁছে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে বসিরহাটের এসপি অফিস অভিযান কিংবা সন্দেশখালি মানুষের কাছে একাধিকবার পৌঁছেছিলেন তিনি।