সন্দেশখালি, 24 ফেব্রুয়ারি: সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে ঘুরপথে সন্দেশখালি পৌঁছলেন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৷ পুলিশের চোখ এড়িয়ে তিনি তাঁর দলের নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে শনিবার পৌঁছে যান সন্দেশখালিতে ৷ যদিও, পরবর্তী সময়ে পুলিশ মীনাক্ষীদের গতিবিধি জানতে পারে ৷ তবে, এখনও পর্যন্ত তাঁকে অথবা মীনাক্ষীর সঙ্গে থাকা সিপিআইএমের কোনও নেতৃত্বকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয়নি বলেই খবর ৷
প্রথমে টোটোয় করে, পরে পায়ে হেঁটে সন্দেশখালির গ্রামে গ্রামে ঘুরে নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন সিপিআইএমের যুব সংগঠনের এই নেত্রী ৷ মীনাক্ষীর সঙ্গে রয়েছেন ডিওয়াইএফআই রাজ্য সভাপতি ধ্রুব সাহা এবং সিপিআইএম রাজ্য কমিটির সদস্য পলাশ দাস ৷ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা ৷ শেখ শাহজাহান ও তাঁর লোকজনদের বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ বাম প্রতিনিধিদলের সামনে তুলে ধরেন গ্রামবাসীরা ৷ তবে, ঠিক কী কথা হয়েছে ? কী কী অভিযোগ তাঁরা করেছেন ? তা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনেও গোপনীয়তা বজায় রেখেছেন সিপিআইএমের এই যুবনেত্রী ৷
ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর জমি দখল, নারী নির্যাতন-সহ নানান অভিযোগে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি 2 নম্বর ব্লক ৷ শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির দাবিতে সরব হয়েছে ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা ৷ জমি দখল করে জোরজবরদস্তি ভেড়ি বানানো-সহ একাধিক অভিযোগের ক্ষোভ-বিক্ষোভে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সুন্দরবনের সন্দেশখালি ৷ সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসনের তরফে 144 ধারা জারি করা হয়েছে ৷ অন্যদিকে, গ্রামবাসীদের আস্থা অর্জনে পুলিশও রুটমার্চ শুরু করেছে ৷