ভদ্রেশ্বর, 15 মার্চ: সপ্তাহখানেক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে হুগলির ভদ্রেশ্বরের শ্যামনগর জুটমিল ৷ শুক্রবার সেই নিয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় সাংসদ তথা এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ৷ তিনি রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন ৷ চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরের দুই তৃণমূল নেতা লকেটের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন ৷ ইন্দ্রনীল সেন লকেটের রুচি ও শিক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ৷
এ দিন লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘উনি (ইন্দ্রনীল সেন) তৃণমূল গায়ক মঞ্চে মঞ্চে গান গেয়ে বেড়াচ্ছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনন্দ দিয়ে বেড়ান । উনি দুর্নীতি করেন৷ কাজ করেন না । সিঙ্গুরের বুকে 'মোহর' নামে বিশাল জায়গার উপর বাড়ি বানিয়েছেন ইন্দ্রনীল । কোথা থেকে এতো সোনার মোহর এল, তার খোঁজ আমরা রেখেছি । আগামিদিনে মানুষ জবাব দেবে । বিধায়ক এত টাকা কোথা থেকে এল ? ইন্দ্রনীল সেন, মুন্না আগরওয়াল ও প্রলয় চক্রবর্তী মতো বড় বড় লোক মাথা রয়েছে ৷ সিবিআই-ইডির কাছে সব তথ্য রয়েছে । তখন বুঝতে পারবে, যখন চন্দননগরের ঘরে ঘরে ঢুকবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল ।’’
লকেটের অভিযোগে জবাব জানতে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের সঙ্গে ইটিভি ভারত-এর তরফে ফোনে যোগাযোগ করা হয় ৷ উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘যেকোনও দলের নেতা-নেত্রী তাঁর রুচি ও শিক্ষার কথা মাথায় রেখেই মন্তব্য করেন । বাকি কিছু বলতে চাই না । মানুষের জন্য যা কাজ করেছি, তার ফল চন্দননগর বিধানসভা ভোটে দেখেছেন মানুষ । আগামী লোকসভা ভোটেও দেখবে ।’’
চন্দননগর পৌরনিগমের ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল বলেন, ‘‘লকেট চট্টোপাধ্যায় পাঁচ বছর কোথায় ছিলেন ? এটা থেকে পরিষ্কার সিবিআই-ইডি সংস্থা ওঁদের হাতেই আছে । ভারতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় সংস্থাকে এভাবে যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করে । সেটা লকেটের কথা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে । উনি ইন্দ্রনীল সেনের বাড়ির প্রসঙ্গে কথা তুলেছেন, বাড়ির সবার আছে । কেউ স্টেশনে থাকে না । 2016 সালে ও 2021 সালে যে নির্বাচনী তথ্য আছে, সেখান থেকেই পরিষ্কার হিসাব পাওয়া যাবে চন্দননগর বিধায়কের । উনি যেভাবে আমাদের বিরুদ্ধে বলছেন, অবশ্যই দলের সঙ্গে কথা বলে আইনি ব্যবস্থা নেব ।’’