রায়গঞ্জ, 2 জুলাই: হাতে আর মাত্র ক'দিন ৷ আগামী 10 জুলাই রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে হবে উপনির্বাচন ৷ সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের মতো উপনির্বাচনেও ফের ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখবে রায়গঞ্জ ৷ এই নির্বাচনেই ভোটের ময়দানে লড়াই করবেন গুরু-শিষ্য ৷ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রচার ৷ শেষ হাসি কে হাসবে, তা সময় বলবে ৷ কিন্তু গুরু-শিষ্যের এই লড়াই ঘিরে এখন জমজমাট রায়গঞ্জ ৷
বিধানসভা উপনির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছে লোকসভা ভোটে পরাজিত প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীকে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির অস্ত্র মানস ঘোষ ৷ কিন্তু সব হিসেব উলটে দিতে মোহিত সেনগুপ্তকে প্রার্থী করেছে বাম-কংগ্রেস জোট ৷ বিরোধী শিবিরের এই প্রার্থী বাকি দুই প্রার্থীর রাজনৈতিক অভিভাবক তিনি ৷ সে কথা জানে রায়গঞ্জের আঠারো থেকে আশি সকলেই ৷ 64 বছর বয়সি মোহিত শুধু দু'দফায় রায়গঞ্জ কেন্দ্রের বিধায়কই ছিলেন না, সামলেছেন পৌরসভার চেয়ারম্যান পদও ৷ তিনি যখন পৌরসভার চেয়ারম্যান, তখন সেই বোর্ডের কাউন্সিলর ছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণীর বাবা দীনদয়াল কল্যাণী ৷ তিনিও তখন কংগ্রেস করতেন ৷ সেই সূত্রে কল্যাণী ভবনে অবাধ যাতায়াত ছিল মোহিতের ৷
আবার দীনদয়ালও সেনগুপ্তদের বাড়িতে হামেশাই ঢুঁ মারতেন ৷ বাবার সঙ্গে যেতেন কৃষ্ণও ৷ কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর দুই পরিবারের মধ্যে খানিকটা দূরত্ব তৈরি হলেও, এখনও কৃষ্ণের কাছে 'কাকা' হয়ে রয়ে গিয়েছেন মোহিত ৷ এখনও 'মোহিতকাকু' সম্বোধনেই কংগ্রেস প্রার্থীকে ডাকেন 45 বছরের কৃষ্ণ ৷ এবারের উপনির্বাচনে প্রতিপক্ষ কংগ্রেস প্রার্থী সম্পর্কে তৃণমূল প্রার্থীর মূল্যায়ন, "ব্যক্তিগতভাবে মোহিতকাকু আমার শ্রদ্ধেয় ৷ বরাবর তাঁকে সম্মান জানিয়ে এসেছি ৷ কিন্তু বিধায়ক কিংবা পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি রায়গঞ্জের জন্য কিছুই করেননি ৷ নির্বাচনি প্রচারে সেই বিষয়গুলি তুলে ধরেছি ৷"