কাকদ্বীপ, 29 মে:স্বাধীনতার পর থেকে দেশের বিকাশ পিছিয়ে থাকার কারণ, পরিবারবাদ ও সেই সব পরিবারবাদী রাজনৈতিক দলগুলির প্রশ্রয়দাতারা ৷ বুধবার মথুরাপুরে শেষদফার নির্বাচনী প্রচারে এমনই অভিযোগ করলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ মূলত, কংগ্রেসই ছিলেন মোদির এই আক্রমণের আসল উদ্দেশ্য ৷ তিনি অভিযোগ করলেন, পরিবারবাদের রাজনীতি পাঁচটি প্রজন্মের যুবসমাজের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করেছে ৷ সেই সঙ্গে দেশের অগ্রগতি ও তার উন্নয়নে বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ আনলেন প্রধানমন্ত্রী ৷
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, ভারতের সঙ্গে স্বাধীন হওয়া পূর্বের ছোটছোট দেশগুলির প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মোদি ৷ তিনি বলেন, "আমাদের সঙ্গেই স্বাধীনতা লাভ করেছে এমন অনেক দেশ আছে ৷ তারা আজ অর্থনীতি ও অন্যান্য সব দিক থেকে ভারতের থেকে ক্রোশ মাইল এগিয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু, আমরা স্বাধীনতার পরবর্তী 60 বছরে ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছি ৷ আমাদের যুবসমাজের পাঁচটি প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে এরা নষ্ট করেছে ৷ শুধুমাত্র পরিবারবাদকে প্রশ্রয় দিতে গিয়ে ৷"
তবে, বাংলার বিকাশ নিয়ে বলতে গিয়ে এদিন ফের একবার ভারতকে তৃতীয় শক্তিশালী অর্থনীতি তৈরি করার কথা বলতে শোনা গেল মোদিকে ৷ তিনি বলেন, "4 জুনের পর বিকশিত, সোনার ভারত তৈরির যাত্রা শুরু হবে ৷ যেখানে আমাদের লক্ষ্য বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থনীতি হওয়ার দিকে এগনো ৷ কিন্তু, 'বিকশিত ভারত' তৈরি করতে গেলে, আগে 'বিকশিত বাংলা' তৈরি করতে হবে ৷ যা একমাত্র পারে বিজেপি ৷ আর তাই কেন্দ্রীয় সরকারে সেই চিন্তাভাবনা নিয়ে চলা সাংসদদের বাংলা থেকে পাঠাতে হবে ৷"
এই ইস্যুতে তৃণমূলকে এদিন পালটা 'বাংলা ও বাঙালি বিরোধী' বলে নিশানা করলেন নরেন্দ্র মোদি ৷ তৃণমূলকে এনিয়ে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, "বাংলার মানুষের প্রতি ঘৃণা কাজ করছে তৃণমূলের ৷ তাই ওরা বাংলার উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে ৷ তাই ওদের একটাই অস্ত্র 'এটা হতে দেব না' ৷" তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাংলা বিরোধিতার অভিযোগ তুলতে গিয়ে, একটি নয়া স্লোগান তৈরি করলেন মোদি ৷ তাঁর অভিযোগ, "বাংলার মানুষের জন্য কেন্দ্রের আয়ূষমান ভারত প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি, বিনামূল্যে রেশন এর সবকিছুর বিরুদ্ধে তৃণমূল ৷ তাদের একটাই কথা, 'এটা হতে দেব না' ৷"
এই প্রসঙ্গে মোদি জানিয়েছেন, দেশের প্রতিটি অঞ্চলের মৎস্যজীবীদের জন্য বিমা প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্র ৷ কিন্তু, বাংলার তৃণমূল সরকার সেই বিমা পরিষেবা বাংলার মৎস্যজীবীদের কাছে পৌঁছতে দেয়নি ৷ এর পিছনে কারণ হিসেবে মোদি বলেন, তৃণমূলের কাটমানি ও তোলাবাজির যে রাজনীতি, তা সফল হবে না বলেই বাংলার মৎস্যজীবীদের স্বার্থকে অবহেলা করা হয়েছে ৷