কলকাতা, 31 জানুয়ারি: কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধির গাড়ির কাচ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ভিন্নসুর দলের অন্দরে ৷ একদিকে যখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী দাবি করছেন, ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে ৷ অন্যদিকে তখনই কংগ্রেসের জাতীয়স্তরের নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতের দাবি, বিহারে হয়েছে এই ঘটনা ৷ অধীর বলছেন, গাড়ির কাচে ঢিল ছোড়া হয় ৷ কিন্তু সুপ্রিয়ার দাবি, জনপ্লাবনের জেরে নিরাপত্তায় ব্যবহৃত দড়ি লেগে গাড়ির কাচ ভেঙে যায় ৷
ফলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অধীর চৌধুরী বাংলার সরকারকে আক্রমণ করলেও কংগ্রেসের জাতীয়স্তরে পুরো বিষয়টিতেই মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সুরই শোনা গিয়েছে ৷ মমতাও ঘটনার নিন্দা করে জানিয়েছেন যে বিহারে ঘটেছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে যে তাহলে কে ঠিক ?
উল্লেখ্য, বুধবার ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা চলাকালীন রাহুল গান্ধির গাড়ির কাচ ভেঙে যায় ৷ ফলে এই নিয়ে হইচই পড়ে রাজনৈতিক মহলে ৷ অধীর চৌধুরীর অভিযোগ করেন, বিহার থেকে বাংলায় প্রবেশ করার পরই এই ঘটনা ঘটেছে ৷ কিন্তু কংগ্রেসের জাতীয়স্তরে সোশাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্লাটফর্মের চেয়ারপার্সন সুপ্রিয়া শ্রীনাতে লিখেছেন, ‘‘ভুল খবরকে স্পষ্ট করা জরুরি । রাহুলজির সঙ্গে দেখা করতে এক বিশাল জনসমুদ্র এসেছিল । সেই ভিড়ের মধ্যে থেকে এক মহিলা যখন তার সঙ্গে দেখা করার জন্য একদম সামনে চলে আসেন, গাড়িটিকে আচমকাই ব্রেক কষতে হয় । তখনই সুরক্ষা বলয় তৈরিতে ব্যবহৃত দড়িতে গাড়ির উইন্ড শিল্ড ভেঙে যায় । রাহুলজি ন্যায়ের জন্য লড়াই করছেন ৷ আর এই দেশ লড়াইয়ে শুধু তাঁর সঙ্গেই নেই ৷ বরং তাঁকে নিরাপদেও রাখছে ।’’
এই নিয়ে এ দিন বহরমপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি মেসেজটা পেলাম, রাহুল আমার থেকে ছোট । শুনলাম গাড়ির কাচ ভেঙেছে । আমি খোঁজ নিলাম । ওটা বিহারের কাটিহারে হয়েছে । আমি ঘটনার নিন্দা করছি ।’’ যেহেতু বিহারে হয়েছে, তাই এর সঙ্গে বিজেপি ও জেডিইউ-এর যোগ থাকতে পারে বলে তিনি আশংকাও প্রকাশ করেন ৷ মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি আর নীতিশ এক হয়েছে বিহারে । ওরা করতে পারে । ওদের রাগ থাকতে পারে । এই রাজ্যে যেন কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে । যে কেউ কর্মসূচি করতে পারে । কোনও দুর্ঘটনা যেন না ঘটে ।’’