বারাসত, 31 মার্চ: বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারকে ঘিরে দলের অভ্যন্তরে বিদ্রোহ আরও চওড়া হল। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট, জেলা কার্যালয়ে পোস্টার, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে নালিশ-চিঠি বিতর্ক এগুলো-তো ছিলই। এবার সেই আবহেই বারাসত কেন্দ্রের বর্তমান বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন গতবারের পরাজিত পদ্ম প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথ। আর তা করতে গিয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন তিনি।
মৃণালকান্তির কথায়, "না-না মাধ্যম দিয়ে ওনার প্রোফাইল জেনে গিয়েছে সাধারণ মানুষ। মানুষ তো আগে প্রোফাইল দেখে ৷ তাই, যারা স্বপন মজুমদারের প্রোফাইল দেখেছে কিংবা জেনেছে, সেই সমস্ত সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কি আর ওনাকে ভোট দেবে ? আমার তো মনে হয় না ! বিভিন্ন জায়গা থেকে স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ জানতে পেরেছি আমি সেগুলোর সত্যতা যাচাই করার পর আমার পক্ষেও দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়া সম্ভব নয়। প্রচারে নামা তো দুরস্ত!" একমাত্র এই কেন্দ্রের প্রার্থী বদল হলেই যে তিনি দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নামবেন সেকথাও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা মৃণালকান্তি দেবনাথ।
এদিকে, বারাসত কেন্দ্রের প্রার্থী বাছাইয়ের আগে দলের কোনও নেতাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ কিংবা আলোচনা করেননি বলেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বিজেপির চিকিৎসক নেতা মৃণালকান্তি দেবনাথ। এই বিষয়ে তিনি বলেন, "গত লোকসভা নির্বাচনে আমি দিন-রাত এক করে মাটি কামড়ে প্রচার করেছিলাম। যার ফলে বারাসত কেন্দ্রে লড়াই দিতে পেরেছিলাম। লড়াই দেওয়ার ক্ষমতা এক একজনের এক একরকম থাকে। এখন স্বপন মজুমদার কীভাবে লড়াই দেবেন, সেটা তো আমি বলতে পারব না। তবে, আমার মতো টক্কর দিতে পারবে না সে।"
এর কারণও ব্যাখা করেছেন বারাসত কেন্দ্রের গতবারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থী মৃণালকান্তি দেবনাথ। তাঁর কথায়, "যত রকম নেগেটিভ প্রচার এবং আলোচনা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়, তাতে তো ফ্লোটিং ভোটাররাও দ্বিধাগ্রস্ত। এরকম একজন অভিযুক্ত মাদক পাচারকারী দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেবেন কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে রয়েছেন তাঁরা। তাই এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে সমানে-সমানে লড়াই দিতে প্রার্থী বদল প্রয়োজন। না হলে লড়াইয়ের ময়দান থেকে আগেই ছিটকে যেতে হবে প্রার্থীকে।" দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেই শুধু ক্ষান্ত হননি।তৃণমূলের হেভিওয়েট প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে ভোট দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন বিজেপি নেতা মৃণাল দেবনাথ।