সন্দেশখালি, 22 ফেব্রুয়ারি:সন্দেশখালি সফরের সময় 144 ধারা ভঙ্গ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ৷ যদিও সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় ৷
অসুস্থ হওয়ার আট দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার সুকান্ত মজুমদারের সন্দেশখালি সফর ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল ৷ শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে আজ সন্দেশখালি থানার সামনে বসে পড়ে অবস্থান শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । তাঁকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে সরে যেতে বলা হলেও, তিনি নিজের জায়গা থেকে নড়েননি ৷ তাঁকে সরাতে গেলে গ্রেফতার করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি ৷ এরপর পুলিশ তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয় ৷ একটি টোটোতে সুকান্তকে বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সন্দেশখালি ঘাটে ৷ টোটোতে সুকান্তর নিরাপত্তা রক্ষীদের উঠতে বাঁধা দেওয়ায় তাঁদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বাঁধে বলে অভিযোগ ৷ এরপর সন্দেশখালি ঘাট থেকে লঞ্চে করে ধামাখালি ঘাটে নিয়ে যাওয়ার সময় সুকান্তকে গ্রেফতার করা হয় বলে দাবি করেছে পুলিশ ৷ যদিও লঞ্চেই ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয় ৷
আগের ঘটনার মতোই বৃহস্পতিবারও সুকান্ত মজুমদারকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে আটকায় পুলিশ । এ নিয়ে ধামাখালিতে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয় সুকান্তর । পরে বচসাও বাঁধে দু'পক্ষের মধ্যে । পুলিশের কর্তব্যরত অফিসার তাঁকে স্পষ্ট জানান, 144 ধারা জারি থাকায় তিনি সদলবলে সন্দেশখালি যেতে পারবেন না । কেবলমাত্র তিনি ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদেরই সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে । অবশেষে পুলিশের যুক্তি মেনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাই জলপথে সন্দেশখালি পৌঁছন ।
এ দিন সন্দেশখালিতে পৌঁছে সুকান্ত প্রথমেই যান ত্রিমণি বাজারে ধৃত বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহের বাড়িতে । সেখানে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার বার্তা দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি । বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে অন্যায়ভাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলেও পরিবারের সামনে অভিযোগ করেন বালুরঘাটের সাংসদ । বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পর আচমকা সন্দেশখালি থানায় চলে আসেন সুকান্ত ।