কলকাতা, 4 মে: রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। অভিযোগ সরাসরি রাজভবনের বাসিন্দা তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধেই। রাজ্যপাল এই অভিযোগের পিছনে পালটা রাজনৈতিক চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন। শনিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করতে গিয়ে এর বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় রাজ্যপালকে সরাসরি নিশানা করে তিনি বলেছেন, "রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের ক্ষমা চাওয়া উচিত।" একই সঙ্গে ওঁর আচরণের জন্য বাংলার মানুষ তাঁকে বয়কট করবে বলেও জানিয়েছেন অভিষেক।
এদিন তৃণমূল ভবনে সন্দেশখালি নিয়ে প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োর প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করেন অভিষেক। সেখানেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানি প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। জবাবে অভিষেক বলেন, "রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা নিয়ে কী বলব ? লজ্জা করে আমাদের। সবচেয়ে বড় কথা শ্লীলতাহানির অভিযোগের ঠিক পরদিনই তিনি কোচি পালিয়ে গেলেন। কেন ? তাঁর উচিত ক্ষমা চাওয়া।"
একসঙ্গে এই অভিযোগ ওঠার পর রাজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে রাজভবনে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন তিনি। এই নিয়ে অভিষেককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "তিনি কী নিষেধাজ্ঞা জারি করবেন, বাংলার মানুষই বয়কট করবে রাজভবনকে। রাজ্যপালের কোনও বিবৃতি নেই এখনও পর্যন্ত। যতদিন উনি এই আসনে থাকবেন, ততদিন বাংলার মানুষই তাঁকে বয়কট করবে। শুধুমাত্র বিজেপি যাবে রাজভবনে।"
এখানেই শেষ নয়, আরও একধাপ এগিয়ে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে অভিষেক বলেন, "আপনি যা করেছেন, তার জন্য লজ্জা হওয়া উচিত। সিসিটিভি ফুটেজ আছে নিশ্চয়ই। এই ছোট্ট তৃণমূল ভবনেও এতগুলো সিসিটিভি রয়েছে। রাজভবনেও নিশ্চয় আছে। আপনি নির্দোষ হলে সিসিটিভি ফুটেজই সেটা বলে দেবে। সেটা কেন রিলিজ করছে না ? তাহলেই তো সব স্পষ্ট হয়ে যাবে।"