মিউনিখ, 18 ফেব্রুয়ারি: "নাগরিক মৃত্যুর বিষয়টি ইজরালেয়ের গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত ছিল", বললেন দেশের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ৷ জার্মানির মিউনিখে নিরাপত্তা সংক্রান্ত একটি সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন তিনি ৷ সেখানেই হামাস ও ইজরায়েল প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেন বিদেশমন্ত্রী ৷
তবে হামাসের কড়া সমালোচনা করেছেন জয়শঙ্কর ৷ তিনি বলেন, "প্রথমত, এটা পরিষ্কার যে, 7 অক্টোবর যা হয়েছে, তা জঙ্গি হামলা ৷ এতে কোনও ব্যাখ্যা নেই ৷ এটা জঙ্গি হামলাই ৷ দ্বিতীয়ত, ইজরায়েল এর জবাব দিয়েছে ৷ তবে ইজরায়েলের নাগরিক মৃত্যুর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত ছিল ৷ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন আছে এবং তা মেনে চলা সবার কর্তব্য ৷" অপহৃতদের ফিরিয়ে দেওয়াটাও অবশ্য প্রয়োজন বলে মনে করেন এস জয়শঙ্কর ৷ আর তার জন্য মানবিক করিডোর করা দরকার ৷
তবে গাজা এবং ইজরায়েল দু'টি পৃথক দেশের পক্ষেই সওয়াল করেছেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী ৷ জয়শঙ্কর বলেন, "তৃতীয়ত, এখন অপহৃতদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ৷ চতুর্থত, একটা মানবিক করিডোর করা প্রয়োজন ৷ সেখান দিয়ে দেশে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছনো যাবে ৷ এরপর একটা স্থায়ী সমাধান খুঁজতে হবে, যেটা দীর্ঘস্থায়ী হবে ৷ নাহলে বারবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে ৷"
এ বিষয়ে ভারত কী ভাবছে ? তিনি বলেন, "ভারত দশকের পর দশক ধরে দু'টি পৃথক রাষ্ট্রের সমাধানের কথা বলেছে ৷ আজ এই সময়ে মনে হচ্ছে, আগের থেকেও এখন এটা বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে ৷" শুধু ভারতই নয়, দক্ষিণ গোলার্ধের বহু দেশই চায় দু'টি আলাদা রাষ্ট্র হলেই চিরস্থায়ী সমাধান মিলবে ৷ এই নিরাপত্তা সম্মেলনেই আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিকেন জানান, ইজরায়েলের নিরাপত্তা ও সমর্থনের বিষয়ে আমেরিকা দায়বদ্ধ ৷
আরও পড়ুন:
- গাজায় গণহত্যা চালিয়েছে ইজরায়েল? শুক্রবার রায় দেবে আন্তর্জাতিক আদালত
- যুদ্ধের আবহে ইজরায়েলে বসেই ব্যবসা চালাচ্ছেন মালিক! বড়দিনের আগে চেনা ভিড় ঐতিহ্য়ের নাহুমসে
- যুদ্ধের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী দিন ! 24 ঘণ্টায় গাজায় 166 জনকে হত্যা করেছে ইজরায়েল