প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতলে ইতিহাস গড়বেন কমলা হ্য়ারিস
হোয়াইট হাউজ দখলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে যুযুধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ নির্বাচনে জিতলে মার্কিন ইতিহাসে নতুন অধ্য়ায়ের সূচনা করবেন হ্যারিস ৷
ওয়াশিংটন, 6 নভেম্বর: মার্কিন মুলুকে নির্বাচন ৷ ভারতীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনে ইতিমধ্যেই গণনাও শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ 538টি ইলক্টোরালের মধ্যে এখনও পর্যন্ত 168টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ৷ আর ডেমোক্র্য়াট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এগিয়ে রয়েছেন মাত্র 81টিতে ৷
তবে হাল ছাড়েনি আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট সমর্থকরা ৷ নির্বাচনে জিতলে দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসাবে ইতিহাস তৈরি করবেন তিনি ৷ সেই সঙ্গে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসাবেও আমেরিকার ইতিহাসে নয়া অধ্যায়ের সূচনা করবেন কমলা হ্যারিস ৷
আইন প্রণেতা থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পদপার্থী ৷ দীর্ঘ এই পথ পেড়িয়ে আসতে বেশ খানিকটা সময় লেগেছে 60 বছর বয়সি হ্যারিসের ৷ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হ্য়ারিসের কাছে তাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া ঐতিহাসিক বিষয় ৷ চলতি বছরের জুলাই মাসে এবারের নির্বাচন থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন জো বাইডেন ৷ সেই সঙ্গে জানান, দলের প্রার্থী হবেন হ্যারিস ৷
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর বিভেদ, নিন্দা ও হিংসাকে দূরে সরিয়ে রেখে নতুন পথ তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ৷ সেই সঙ্গে, মধ্যবিত্ত মার্কিনিদের সমস্যা দূর করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন ৷ নির্বাচনী প্রচারেও অধিকার রক্ষা, অভিবাসন নীতি, গর্ভপাত আইনকেই প্রধান হাতিয়ার করেন কমলা হ্যারিস ৷ এমনকী, প্রচারেও এই সমস্ত বিষয়গুলিকে তুলে ধরেন তিনি ৷ তুলে ধরেন তাঁর মায়ের ভারত থেকে আমেরিকার যাত্রার প্রসঙ্গও ৷
এক নির্বাচনী প্রচারে মা শ্যামলা গোপালন হ্যারিসের প্রসঙ্গে টেনে কমলা বলেন, "মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করায় বেশকিছু বিষয় আমাকে মেনে চলতে হয়েছে ৷ প্রতি মাসে মা আমাদের খরচের একটি হিসাব তৈরি করে রাখতেন ৷ আর সেই মতোই আমাদের চলতে হত ৷" তাই সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভিত শক্ত করলে, তবেই দেশের ভিত মজবুত হবে বলে মনে করেন হ্যারিস ৷
হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একটি খাবারের দোকানে কাজ করতেন কমলা হ্যারিস ৷ অসহায়দের জন্য লড়াইয়ের ইচ্ছে ছিল তাঁর ৷ সেই ইচ্ছে পূরণের উদ্দেশে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন ৷ চাকরি জীবনের শুরুতে সাধারণ মানুষদের ন্যায়ও দেন হ্যারিস ৷ ক্য়ালিফোর্নিয়ায় ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটোর্নির নির্বাচন জেতার পর একাধিক নির্যাতন ও অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করেন তিনি ৷
এবার লক্ষ্য আমেরিকার মানুষের অধিকার রক্ষা ৷ সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য নির্বাচন শুরু হতেই সকলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ৷ এ নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একাধিক পোস্টও করেন তিনি ৷