সিয়াটেল, 24 জানুয়ারি: মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নিয়েই আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভের জন্য চরমসীমা বেঁধে দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তের উপরে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করল আমেরিকার প্রাদেশিক আদালত ৷ ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে ‘স্পষ্টতই অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকার সিয়াটেল আদালতের বিচারক জন কফেনওয়ার ।
47তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরেই ট্রাম্প আদেশ দিয়েছিলেন অভিবাসীদের ছেলেমেয়ারা আর জন্মসূত্রে আমেরিকার নাগরিকত্ব পাবে না । ওভাল অফিসে বসে প্রথম দিনেই তিনি যে আদেশ পত্রগুলি সই করেছিলেন, তার মধ্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের বিষয়টি ছিল অন্যতম ৷ আমেরিকায় এতদিন নিয়ম ছিল, বাবা অথবা মায়ের পরিচয় না-দেখেই আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হওয়া সন্তান জন্মগতভাবে সে দেশের নাগরিকত্ব লাভ করে । কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে এই নিয়ম বদলাতে শপথ নিয়েই আদেশ পত্রে সই করেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এই নির্দেশে ভারত-সহ অন্যান্য দেশ থেকে যাওয়া প্রবাসীরা সমস্যায় পড়েছেন । প্রেসিডেন্টের নয়া নির্দেশের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন প্রদেশের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল ওয়াশিংটন, ওরেগন, ইলিনয় এবং অ্যারিজোনা প্রদেশ । ডেমোক্র্যাটশাসিত এই রাজ্যগুলির দাবি ছিল, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন সংবিধানের 14তম সংশোধনী বিরোধী । কারণ এই সংশোধনীতে আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল ।
বৃহস্পতিবার ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের উপর সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত । 6 ফেব্রুয়ারি ফের মামলাটি শুনানি । সেই সময়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না । ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমেরিকার বিভিন্ন আদালতে পাঁচ থেকে ছ'টি মামলা হয়েছে ৷