হায়দরাবাদ, 1 মার্চ: প্রতি বছরের 1 মার্চ দিনটি বিশ্বজুড়ে 'জিরো ডিসক্রিমিনেশন ডে' হিসেবে পালিত হয় ৷ এর উদ্যোক্তা রাষ্ট্রসংঘের ইউএনএআইডিএস ৷ বিশ্বের সব ধরনের বৈষম্য যা স্বাস্থ্য, মানুষের ভালো থাকা এবং জীবন যাপনের মানের উপর প্রভাব ফেলে, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিতেই এই দিন পালন ৷ বিশেষত এইচআইভি সংক্রমিত মানুষদের বিরুদ্ধে বৈষম্য দূর করা ৷
জিরো ডিসক্রিমিনেশন ডে কী: 2014 সালের 1 মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম জিরো 'জিরো ডিসক্রিমিনেশন ডে' পালিত হয় ৷ এর আগে 2013 সালের ডিসেম্বরে এই দিন পালনের কথা ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘের ইউএনএইডস ৷ এই দিনের প্রতীক প্রজাপতি ৷ বিশ্বজুড়ে বৈষম্য শেষ করতে এবং সদর্থক পরিবর্তনের কথা প্রচারে গল্প, ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয় ৷
জিরো ডিসক্রিমিনেশন ডে 2024 থিম: এবছর 'জিরো ডিসক্রিমিনেশন ডে'-র থিম 'টু প্রটেক্ট এভরিওয়ান'স হেলথ, প্রটেক্ট এভরিওয়ান'স রাইটস', সবার স্বাস্থ্য এবং অধিকারকে রক্ষা করা ৷ এইডসের সঙ্গে সম্পর্কিত বৈষম্য দূর করতে স্বাস্থ্য ও অধিকারের সুরক্ষা কতটা জরুরি, সেই বার্তা দেওয়াই এর উদ্দেশ্য ৷
বৈষম্য কী: মানুষের জাতি, লিঙ্গ, বয়স অথবা যৌন অভিমুখের সঙ্গে জড়িত এই বৈষম্য অথবা অন্যায় আচরণ ৷ এইআইভি সংক্রমিত ব্যক্তিরা অনেক সময় পরিবারের মধ্য়েই এই বৈষম্যের শিকার হয় ৷ পরিবারের বাইরে গোষ্ঠীর মধ্যে, এমনকী চিকিৎসাক্ষেত্রেও এই বৈষম্য দেখা যায় ৷
সাধারণ জনমানসে এই বৈষম্যের প্রভাব: কর্মক্ষেত্রে এই বৈষম্যের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে ৷ এতে সম্ভাবনাও নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে ৷ এর ফলে একটি সংগঠনের মধ্য়ে একজন একা হয়ে পড়েন ৷ তবে একটি সংগঠনের সাফল্যের জন্য সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং যোগাযোগ জরুরি ৷
তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বৈষম্য এবং মানসিক স্বাস্থ্য: সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বৈষম্যের ফলে তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্য়ে মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় ৷ যাঁরা এই বৈষম্যের মুখোমুখি হয়, তাঁদের মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের তুলনায় বেশি ৷ এর সঙ্গে নানাধরনের মানসিক চাপের সম্মুখীন হতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ৷