হায়দরাবাদ: দারিদ্র্যতা, যুদ্ধ, হিংসা, শোষণ... বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কারণে শিশুদের ঘরবাড়ি ছাড়া হতে হয় ৷ রাস্তাতেই আশ্রয় নিতে বাধ্য হয় তারা । ফলে হারিয়ে যায় শৈশব ৷ একবার ওই জীবনে প্রবেশ করলে দারিদ্র্যতা, দুর্ব্যবহার এবং অবহেলার পাত্রে পরিণত হয় শিশুরা ৷ সবচেয়ে বড় কথা, খুব সহজেই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে যায় শৈশব ৷
পথশিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস, বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর 12 এপ্রিল পালিত হয় ৷ এই দিনটির প্রতিপাদ্য, পথশিশুদের তাদের মৌলিক অধিকার প্রাপ্তি সুনিশ্চিত করা ৷ এই দিনটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাগুলির মধ্যে একটি হল, সমস্ত শিশুর মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বিভিন্ন পরিষেবা নিশ্চিত করা ।
ইতিহাস কী বলছে ?
এই দিনটি 1989 সালে রাষ্ট্রসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশন গ্রহণের মাধ্যমে দিনের আলো দেখে ৷ দিনটি পথশিশুদের মৌলিক চাহিদা এবং সমান সুযোগপ্রাপ্তির বিষয়ে মৌলিক মানবাধিকারগুলিকে সংরক্ষিত করে ।
বেঁচে থাকতে পথশিশুদের সিংহভাগই ভিক্ষা, আবর্জনা ফেলার কাজ করে ৷ খিদের জ্বালা মেটাতে কিংবা অপরাধ জগতের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ায় চুরিরও আশ্রয় নেয় । ছোট ছোট দল গঠন করে, জীবনের কঠোর বাস্তবতার মধ্যেও সুখের সন্ধানে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে । দুর্ভাগ্যবশত, কিছু শিশু মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের দিকেও ঝুঁকছে ৷ যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছেে ।
পথশিশুর জীবন...
পথশিশুরা প্রায়শই মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয় ৷ শিক্ষার অভাব, ভালো-মন্দের তফাৎ করে না শেখায় সহজেই গ্রাস করে বিষণ্ণতা এবং উদ্বেগ ৷ বৈষম্য এবং প্রান্তিকতা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও কঠিন করে তোলে । ফলে কোনও ব্যক্তি বা সংস্থা উদ্যোগ না-নিলে, নিজেদের চেষ্টায় স্বাভাবিক জীবনে ফেরার রাস্তাটাও কার্যত অসম্ভবের সামিল ৷
পথশিশুদের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বা এনজিও তথ্যমূলক সেমিনার, প্যানেল আলোচনা এবং তহবিল সংগ্রহের মতো অনুষ্ঠান করে । এই ইভেন্টগুলির লক্ষ্য এই পথশিশুদের সংগ্রাম এবং কষ্ট সম্পর্কে সমাজকে শিক্ষিত এবং সচেতন করা । শিক্ষা, সচেতনতা এবং মূল্যবোধ জাগ্রত হলেই পথশিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার রাস্তা সুগম হবে ৷
আরও পড়ুন:
- বাড়ছে তাপমাত্রা, গরমে সুস্থ থাকতে কোন ফল খাবেন ? জানালেন পুষ্টিবিদ
- বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধান প্রোটিন খাবার, পাতে রাখতে পারেন এইগুলি
- গরমে পেটের সমস্যা ? মুক্তির উপায় বলে দিলেন পুষ্টিবিদ