কলকাতা:বর্ষায় ঘন ঘন শরীর খারাপ লেগেই থাকে ৷ স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ঠান্ডা জ্বর সাধারণ বিষয় ৷ তেমন পাল্লা দিয়ে বেড়ে যায় শুকনো কাশিও । কথা বলতে গেলেই গলা সুড়সুড় করে । রাতে কাশি আরও বেড়ে যায় । কাশির দাপট কমাতে কেউ গরম জলে গার্গেল করেন, আবার অনেকে সিরাপ খান । তাতে কাশি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব ও এনার্জি থাকে না । যার প্রভাব পড়ে কাজের উপর । তাই ওষুধের পাশাপাশি ভরসা করা যেতে পারে ঘরোয়া কিছু টোটকার উপরে ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এক বা দুই দিনের জন্য কাশি থাকে তবে এটিকে জ্বর, ফ্লু বা সংক্রমণ হিসাবে ভাবার পরামর্শ দেওয়া হয় । এক সপ্তাহ কেটে গেলে ব্রঙ্কাইটিস বা অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে ৷
গ্লেনিগেলস অ্যাওয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক পালমোনোলজিস্ট ডাঃ তাপস্বী কৃষ্ণ বলেন, "কাশি অনেক কারণে হয় । এটি মূলত ফুসফুসের সমস্যা এবং অ্যাসিডিটি বৃদ্ধির জন্য হয়ে থাকে । এছাড়া হাঁপানি, টিবি, নিউমোনিয়া এবং আইএলটি-এ আক্রান্তদেরও প্রচুর কাশি হয় । এগুলি ছাড়াও এটি সাধারণ মানুষের মধ্যেও হয় । গলার ইনফেকশন এবং সাইনোসাইটিসের সমস্যাতেও কাশি হতে পারে ৷ দুই সপ্তাহ ধরে কাশির সমস্যায় ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষা করা উচিত ৷"
এছাড়াও জানান, স্নায়ুতন্ত্রও শ্বাসযন্ত্রকে ক্ষতি করে কাশি সৃষ্টি করে । সংক্রমণ, অ্যালার্জি, ঠান্ডা হাওয়া বাতাস, ধুলোবালি ইত্যাদির কারণে কাশি হতে পারে ৷ তবে যদি ঠান্ডা জ্বর থেকে কাশির পরিমাণ বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ গ্রহণ করা ভালো ৷ উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যাগুলির জন্য ব্যবহৃত ওষুধগুলি কখনও কখনও কাশিকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে । শিশুদের মধ্যে কাশি সাধারণ । তাদের মধু দিলে ভালো ফল পাওয়া যাবে ।
তিনি বলেন, "খাওয়ার আগে গরম জলে নুন দিয়ে গার্গেল করলে ভালো । অ্যান্টি-বায়োটিক ব্যবহারের পাশাপাশি বেটাডিন দিয়ে গার্গেল করুন । হাঁপানিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করা উচিত । অ্যাসিডিটি বেশি হলে কাশিও হয় । সাইনোসাইটিস থেকে কাশির সমস্যা হলে একটু হলুদ মেশালে ভালো ফল পাওয়া যায় ৷